Home First Lead করোনাঝুঁকিতে চট্টগ্রামে ভোট স্থগিত করার দাবি

করোনাঝুঁকিতে চট্টগ্রামে ভোট স্থগিত করার দাবি

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম: আগামী ২৯ মার্চ অনুষ্ঠেয় সিটি নির্বাচন স্থগিত করার দাবি আরও জোরদার হলো। করোনাভাইরাসের কারণে জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকায় স্থগিত করার জন্য রিটার্নিং অফিসারকে আজ শুক্রবার চিঠি দিয়েছেন বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থি ডা. শাহাদাত হোসেনের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ও দলের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল-নোমান।

ভোট স্থগিত করার দাবিতে রিটার্নিং অফিসারকে চিঠি হস্তান্তর করছেন আবদুল্লাহ আল-নোমান

রিটার্নিং অফিসারকে পত্রটি হস্তান্তর করা হয়েছে। এ সময় মেয়রপ্রার্থি, মহানগর বিএনপি সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, একরামুল করিম, মাহবুবুর রহমান শামীম, আবু সুফিয়ান, আবুল হাশেম বক্কর উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী মেহেদিবাগে বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে এ মুহূর্তে নির্বাচন বন্ধ করা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করে বলেন, আমরা মনে করি না দেশের বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতিতে নির্বাচনের সুযোগ আছে। জনগণ যাতে নিরাপদ দূরত্বে চলে যান সে উদ্যোগ নিতে হবে। সারাবিশ্বে  মানুষ আত্মরক্ষার জন্য ৪ ফুট ব্যবধানে থাকছে। বাড়ি থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। লোকজন ঘর থেকে বের হচ্ছে না। সেখানে বাংলাদেশে নির্বাচন হচ্ছে।

খসরুর প্রশ্ন-সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার নামে বাংলাদেশের মানুষকে এভাবে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে- এর দায়দায়িত্ব কারা নেবে? মানুষের জীবনের চেয়ে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা বড় হতে পারে? দেশে ১৭-১৮ কোটি মানুষ, এখানে দুর্যোগ হলে দায়দায়িত্ব কে নেবে? বলা হচ্ছে হাত থেকে বেশি ছড়াচ্ছে করোনাভাইরাস। ফিঙ্গার প্রিন্ট একজনের পর একজন দিতে থাকবে। ভোট দিতে আসা কেউ করোনাভাইরাসে অসুস্থ হয়ে থাকলে পরে যারা ভোট দেবে সবাই আক্রান্ত হবে। এর দায়দায়িত্ব কে নেবে?

ডা. শাহাদাত হোসেন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমরা মানুষের জন্য, জনগণের জন্য রাজনীতি করি। জনগণকে বাদ দিয়ে আমরা রাজনীতি করতে পারি না। মাঠে যদি জরিপ করেন ৮০-৯০ ভাগ সমর্থন আমাদের আছে।

বিএনপি প্রার্থি নির্বাচন স্থগিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করছেন কয়েকদিন ধরে ।

নির্বাচন বন্ধ করার দাবিতে সোস্যাল মিডিয়াতে চট্টগ্রামের সর্বস্তরের নাগরিকরা সোচ্চার। তারা বলেছেন, করোনা আতংকের জেরে ইতিমধ্যে চট্টগ্রামে সব রকমের সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ বন্ধ রাখা হয়েছে। তাদের প্রশ্ন: এমন পরিস্থিতিতে কীভাবে সম্ভব ভোট করা? স্কুল কলেজে যদি ভাইরাস ছড়ানোর আশংকা থাকে তাহলে বুথে কী হবে? সেখানে ভোট দেয়ার জন্য কত মানুষ লাইন দেবেন। ভোটকর্মীরা এক জায়গা থেকে আরএক জায়গায় যাবেন। তাহলে সেখানে তো আরও বেশি সংক্রমণের সম্ভাবনা থেকে যায় বলে তাদের অভিমত।

তবে, শাসক দলীয় প্রার্থি রেজাউল করিম চৌধুরী এ ব্যাপারে কিছু বলেননি। বৃহস্পতিবার থেকে তিনি প্রচারণা সীমিত করেছেন।

শ্রীলংকা আগামী মাসে অনুষ্ঠেয় সংসদীয় নির্বাচন স্থগিত করেছে করোনা সংক্রমণের মুখে।