কোন শয্যা খালি নেই, আইসিইউ পরিপূর্ণ
।।নাজমুল হোসেন।।
চট্টগ্রাম: করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময় চট্টগ্রামে ব্যাপক চিকিৎসা সেবা দেয়া প্রতিষ্ঠান মা ও শিশু হাসপাতাল এখন রোগী সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। করোনা ওয়ার্ডে কোন শয্যা খালি নেই, আইসিইউতে জায়গা নেই। বহু রোগী অপেক্ষমাণ সেখানে চিকিৎসা সেবা পাওয়ার আশায়।
হাসপাতালের কার্যনির্বাহি কমিটির ট্রেজারার মো. রেজাউল করিম আজাদ বিজনেসটুডে২৪ কে জানান, করোনা রোগীদের সেবা দিতে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। দ্বিতীয় ঢেউয়ের শুরু থেকে যে পরিস্থিতি তা সামাল দেয়া আমাদের সাধ্যের বাইরে। করোনা ওয়ার্ডের সাধারণ শয্যা এবং আইসিইউ কোথাও খালি নেই। প্রতিনিয়ত রোগীর স্বজনরা ফোন করে সিট ম্যানেজ করে দেওয়ার কথা বলেন। কিন্তু সবার অনুরোধ রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। সিট খালি পাওয়ার আশায় বহু করোনা রোগী অপেক্ষায়।
রেজাউল করিম আজাদ জানান, করোনা ওয়ার্ডে রোগী সংখ্যা বেশ হ্রাস পেয়েছিল। মাত্র ৩২ জন রোগী ছিল। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সাথে সাথে সপ্তাহ দু’য়েক ধরে আবার বাড়তে বাড়তে এখন আর কোন শয্যা খালি নেই।
মা ও শিশু হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ডে শয্যা সংখ্যা ৯০। এগুলোর মধ্যে ১৬টি আইসিইউ ( নিবিড় পরিচর্যা ইউনিট)। অবশিষ্ট ৭৪টির মধ্যে ৪৪টি সাধারণ শয্যা এবং ৩০টি ক্যাবিন। শনিবার খোঁজ নিয়ে জানা গেছে যে কোথাও খালি নেই। সব শয্যা রোগীতে পরিপূর্ণ।
সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি জানান, গত ১ মাসে করোনা রোগী ভর্তির হার যেমন ছিল ১৫ দিনে সে সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে। মাস্ক ব্যবহারে অসতর্কতা, বিয়েসহ নানা সামাজিক অনুষ্ঠান, পাবলিক জমায়েতের জায়গায় অনিয়ন্ত্রিত আড্ডা, ঘুরে বেড়ানোসহ নানা কারণ রয়েছে করোনা বৃদ্ধির জন্য। তাই এ সময় আরো সতর্ক হতে হবে সবাইকে। আবারও যে একটা খারাপ পরিস্থিতির দিকে আমরা এগুচ্ছি, তা বলার অবকাশ রাখে না।
তিনি আরও বলেন, ঋতু পরিবর্তনের এ সময় মানুষের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। তখন মানুষের ভাইরাল ফেভারসহ অন্য রোগগুলো শরীরে সক্রিয় হয়ে উঠে। মাস্ক ব্যবহার করা লোকসমাগম স্থান এড়িয়ে থাকার আহ্বান জানান তিনি।
শনিবার (২৭ মার্চ) সকাল ১০ টায় জানা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ২ হাজার ৯৫৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন আরও ৩৫৩ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে।