বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
করোনার আরও এক নয়া প্রজাতির জন্ম হয়েছে। তা দেখা মিলেছে ফ্রান্সে। নাম দেয়া হয়েছে আইএইচইউ (IHU )। এই প্রজাতি নাকি ওমিক্রনের চেয়ে বেশি সংক্রামক।
ভাইরাস বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে আইএইচইউ। এ পর্যন্ত জিনের বিন্যাস পরিবর্তন করেছে ৪৬ বার।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, কোভিডের আলফা ভ্যারিয়ান্টের মধ্যে শুরুতে যে বদল দেখা গিয়েছিল তাই দেখা যাচ্ছে এই ভ্যারিয়ান্টে। তবে আরও দ্রুত গতিতে জিনের গঠন বিন্যাস পাল্টে ফেলছে এই নয়া প্রজাতি। এখনও অবধি ৪৬ বার জিনের বিন্যাস বদলেছে। যেখানে ওমিক্রনে মিউটেশন হয়েছে ৩২ বার।
N501Y মিউটেশন দেখা গেছে এই ভ্যারিয়ান্টে। অর্থাৎ দুটি অ্যামাইনো অ্যাসিড তার কোড বদলে ফেলেছে। E484K মিউটেশনও ধরা পড়েছে। এর অর্থ হল নতুন এই প্রজাতি আরও বেশি সংক্রামক। এত বেশিবার অ্যামাইনো অ্যাসিডের বিন্যাস বদলে ফেলছে যে এর সংক্রামক ক্ষমতা ঝড়ের গতিতে বাড়ছে। গবেষকদের আশঙ্কা, এমন মিউটেশন হতে থাকলে কোভিড টেস্টেও ধরা পড়বে না এই ভাইরাস। ভ্যাকসিন দিয়েও রোখা যাবে না।
ভাইরোলজিস্টরা বলছেন, গত বছর মার্চ থেকে করোনার যে প্রজাতি ছড়াতে শুরু করেছিল তা এখন অনেক বদলে গিয়েছে। সুপার-স্প্রেডার হয়ে উঠেছে, মানে অনেক দ্রুত মানুষের শরীরে ঢুকে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। সার্স-কভ-২ হল আরএনএ (রাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড) ভাইরাস। এর শরীর যে প্রোটিন দিয়ে তৈরি তার মধ্যেই নিরন্তর বদল হচ্ছে। এই প্রোটিন আবার অ্যামাইনো অ্যাসিড দিয়ে সাজানো। ভাইরাস এই অ্যামাইনো অ্যাসিডগুলোর কোড ইচ্ছামতো বদলে দিচ্ছে। কখনও একেবারে ডিলিট করে দিচ্ছে। এইভাবে বদলের একটা চেইন তৈরি হয়েছে। আর এই এই রূপ বদলের কারণেই নতুন নতুন প্রজাতির দেখা মিলতে শুরু করেছে।
করোনার আরও একটি মারাত্মক প্রজাতি ছড়িয়েছে যার নাম সি.১.২ (C.1.2)। প্রথম খুঁজে পাওয়া যায় দক্ষিণ আফ্রিকায়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় কোভিডের এই নতুন প্রজাতির দেখা মেলে। এর পরে চিন, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, মরিশাস, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, পর্তুগাল ও সুইৎজারল্যান্ডে সি.১.২ প্রজাতি ছড়িয়ে পড়ে।
ভাইরাস বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোভিডের প্রথম ঢেউয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় সি.১ ভ্যারিয়ান্ট ছড়িয়ে পড়ে। মনে করা হচ্ছে, এই ভ্যারিয়ান্টেরই জিনের গঠন বিন্যাস বদলে সি.১.২ ভ্যারিয়ান্ট তৈরি হয়েছে। নতুন এই প্রজাতিকে ‘উদ্বেগজনক‘ (ভ্যারিয়ান্ট অব কনসার্ন) বলছেন বিজ্ঞানীরা।