বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
রাজশাহী: করোনায় এবারো মাথায় হাত পড়েছে আমচাষি ও ব্যবসায়ীদের। আমের যেন ক্রেতা খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। আবার এই সময়ের সর্বোচ্চ আকষণীয় আম্রপালিরও চাহিদা কম। ল্যাংড়া বিক্রি হচ্ছে পানির দামে।
চাষি ও ব্যবসায়ীরা বলেছেন আমের ইতিহাসে সর্বনিম্ন দামে বিক্রি হচ্ছে এবার। আমের এমন দরপতন কখনো দেখেননি তাঁরা। এর আগে কখনোই আমের শেষ সময়ে এসে দাম কমেনি। বরং দিনের পর দিন দাম বেড়েছে। প্রতিটি জাতের আমের শেষদিকে গিয়ে সেটি আকাশচুম্বি হয়েছে। ফজলি, গোপাল ভোগ, ল্যাংড়া, হিমসাগর থেকে শুরু করে নানা জাতের আমগুলোর দাম শেষদিকে গিয়ে ৪-৫ হাজার টাকা মণ পর্যন্ত বিক্রি হয়ে থাকে । কিন্তু এখ কোন ব্যাপারিও নেই এই আমকেনার ।
ল্যাংড়া শেষের দিকে। আম্প্রপালি ও ফজলি উঠছে। আশ্বিনা ও বারি-৪ মাত্র পক্ক হচ্ছে। এমন অবস্থায় সারাদেশে লকডাউন আর ঈদের ছুটি আম ব্যবসায়ীদের দুঃচিন্তার শেষ নেই ।
রাজশাহীতে বিক্রির অপেক্ষায় ল্যাংড়া, আম্রপালি, ফজলির মত ৪০ ভাগ আম এখনও গাছে। করোনা আম বাণিজ্য সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মৌসুমের শুরু থেকেই বাজার নিম্নমুখী। লকডাউনে ঘরবন্দী থাকে বেশীরভাগ ভোক্তারা। সেকারনে বিশেষ ব্যবস্থায় বাজার বা আম পরিবহণ চালু থাকলেও তাতে খুব বেশী সুবিধে হয় না।
রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আলীম উদ্দীন জানান, এখনো বাগানে প্রায় ৪০ ভাগ আম রয়েছে। অনেক আম গাছে পেকে যাচ্ছে। লকডাউন হওয়ায় গাছে পাকলেও চাষীরা লকডাউনের পরে আম নামাবেন। এতে তো কিছুটা ক্ষতি হবেই। কিন্তু জাতীয় স্বার্থে আমাদের তা মেনে নিতে হবে।
বাংলাদেশ ম্যাংগো প্রডিউসার মার্চেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ জানানা, সরকার যদি বাগান মালিক আর আম ব্যবসায়ীদের বিকল্প কোন ব্যবস্থা না করতে পারে তাহলে লোকসানের কারণে আমচাষিদের দুঃখের শেষ থাকবে না। আম চাষে বিমুখ হবেন তারা।