বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
করোনাভাইরাস রুখতে সম্ভাব্য ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু করছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যাললেয়র গবেষকরা। তা শুরু হচ্ছে কাল বৃহস্পতিবার।
মঙ্গলবার রাতে ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ থেকে তা জানানো হয়েছে।
ভ্যাকসিনের ক্লিনিকাল ট্রায়ালে সাহায্য করার জন্য অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়কে ২ কোটি পাউন্ড দেবে ব্রিটিশ সরকার। সেই সঙ্গে আরও সওয়া ২ কোটি পাউন্ড দেওয়া হবে লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের গবেষকদের।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা গত সপ্তাহেই জানিয়েছিলেন যে অতিদ্রুত তাঁরা একটি ভ্যাকসিন আনতে চলেছেন। সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই তা পাওয়া যাবে।
মঙ্গলবার ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে বলেন, “অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ট্রায়াল এগিয়ে এনেছেন। তাঁরা এ ব্যাপারে মেডিসিন অ্যান্ড হেল্থকেয়ার রেগুলেটরি এজেন্সির অনুমতি নিয়েছেন। ফলে মানুষের শরীরে অক্সফোর্ড প্রোজেক্টের ট্রায়াল বৃহস্পতিবারই শুরু হয়ে যাবে।”
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা কতদূর এগোতে পেরেছেন?
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজিস্ট সারা গিলবার্ট জানিয়েছেন, তাঁরা আশাবাদী যে তাঁদের তৈরি ভেক্টর ভ্যাকসিন ইবোলার মতোই ধ্বংস করবে সার্স-কভ-২ আরএনএ ভাইরাল স্ট্রেনকে। জেন্নার ইনস্টিউট ও অক্সফোর্ডের যৌথ উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছে কোভিড-১৯ প্রতিরোধী এই ভ্যাকসিন ChAdOx1 nCoV-19। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শেষ হয়েছে মার্চেই। তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে জোরকদমে। অক্সফোর্ড জানিয়েছেন, এবার সুস্থ ও প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ ও মহিলার উপরে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে। ১৮ থেকে ৫৫ বছর বয়সী এমন ৫১২ জনের স্ক্রিনিং চলছে। ইংল্যান্ডের থেমস ভ্যালিতে মানুষের উপর ট্রায়াল চলবে এই ভ্যাকসিনের।
১০ জানুয়ারি থেকেই করোনাভাইরাসের প্রতিরোধী ভ্যাকসিন তৈরির কাজ শুরু হয়েছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। এই গবেষণার নেতৃত্বে রয়েছেন অধ্যাপক-বিজ্ঞানী সারা গিলবার্ট, অধ্যাপক অ্যান্ড্রু পোলার্ড, টেরেসা লাম্বে, ডক্টর স্যান্ডি ডগলাস ও অধ্যাপক অ্যাড্রিয়ান হিল। জেন্নার ইনস্টিটিউট ভাইরোলজি বিভাগের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এই ভ্যাকসিন ডিজাইন করা হয়েছে। জেন্নার ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর অধ্যাপক অ্যাড্রিয়ান হিল বলেছেন, “২০১৪ সালে পশ্চিম আফ্রিকায় ইবোলা মহামারী হওয়ার সময় ভ্যাকসিন তৈরির দিশা দেখিয়েছিল অক্সফোর্ড। এবার আরও বড় চ্যালেঞ্জ আমাদের সামনে।”