বিজনেসটেুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: আরও ৬৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি সোমবার জানিয়েছেন, বিআইটিআইডিতে ২৩৪টি নমুনা পরীক্ষায় মোট ৩৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এদের মধ্যে চট্টগ্রাম জেলার ৩১ জন রয়েছে। বাকি ৮টি নমুনা ভিন্ন জেলার।
চট্টগ্রামে শনাক্ত হওয়া ৩১ জনের মধ্যে নগরীর ১৭ জন।এদের মধ্যে গ্রীনভিউ সোসাইটি, কর্নেলহাট, নোয়াপাড়া পাহাড়তলী , বাঁচা মিয়া রোড, লালখান বাজার, নয়াবাজার মৌসুমি, আকবরশাহ, চকবাজার, পশ্চিম নাসিরাবাদ, পাঁচলাইশ , ফিল্ড হাসপাতাল , দামপাড়া পুলিশ লাইন, নন্দন কানন, ছোটপুল এলাকা , চমেক হাসপাতালে একজন করে এবং আগ্রাবাদের দুইজনের করোনাভাইরাস সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে চকবাজার এলাকার ৬৫ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি মারা গেছেন। বিভিন্ন উপজেলার ১৪ জন রয়েছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ল্যাবে সোমবার ৫৬টি নমুনা পরীক্ষা করে চট্টগ্রামের ১৫ জনের করোনা পজেটিভ এসেছে। এদের মধ্যে নগরীর ১৩ জন ও পটিয়া ও সীতাকুন্ডের একজন করে আক্রান্ত আছেন নিশ্চিত করেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি।
নগরীর আক্রান্তদের মধ্যে রাহাত্তারপুল, বাদুরতলা, বিএমএ, বিএন পতেঙ্গা, বায়েজিদ, ব্যাপারি পাড়া, হাজারি গলি, ডিসি অফিস, শেখের পুল ও বন্দর ফ্রি পোর্ট এলাকার বাসিন্দা রয়েছেন।
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সাইয়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ৯৩টি নমুনা পরীক্ষায় ২৬ জনের করোনা ভাইরাস সংক্রমণ মিলেছে।
সিভাসুতে শনাক্ত হওয়া করোনা আক্রান্তদের মধ্যে চট্টগ্রাম জেলায় ১৮জন এবং নোয়াখালীর সাত এবং ফেনীর একজন রয়েছেন।
চট্টগ্রাম জেলার ১৮ জনের মধ্যে নগরীতে ১১জন এবং সাতকানিয়া, রাঙ্গুনিয়া, হাটহাজারী উপজেলার দুইজন করে এবং সীতাকুন্ডের রয়েছে একজন।
নগরীতে আক্রান্তরা হলেন, কাজীর দেউড়ি, লালদিঘির পাড়, পতেঙ্গা, এয়ারপোর্ট, চকবাজার, টেরিবাজার, ফিরিঙ্গীবাজার এলাকায় একজন করে এবং কদমতলী, হালিশহর এলাকায় রয়েছে দুইজন।
চট্টগ্রামে এই পর্যন্ত কভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩৩২ জনে। চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা.আব্দুর রব মাসুম জানান- সোমবার সন্ধা সাড়ে ৭ টার দিকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন করোনাভাইরাস আক্রান্ত আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন যাবত ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার আগে তিনি আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে বেশকিছু দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিনি ২৭ এপ্রিল হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেন। এরপর সোমবার (২৮এপ্রিল) রাতে চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটে অবস্থিত বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজ (বিআইটিআইডি)-তে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।
কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, মারা যাওয়া ব্যক্তির বয়স ৬৫। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে আক্তান্ত ছিলেন। সর্বশেষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে আন্দরকিল্লার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ১৪ দিনের বেশি সময় ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন।প্রশাসন তার বাড়ী লকডাউন করেছে।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় তার ইসানগরের তবে তার পরিবারের আর কারও মাঝে করোনা সংক্রমনের লক্ষণ পাওয়া যায়নি। তারপরও তার পরিবারকে পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে।