চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৫৩০ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। সংক্রমণ হার ১২ দশমিক ৮৪ শতাংশ। এ সময়ে কারো মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া যায়নি।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রেরিত চট্টগ্রামের করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে আজকের প্রতিবেদনে এ সব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও নগরীর দশ ল্যাব এবং এন্টিজেন টেস্টে গতকাল রোববার চট্টগ্রামের ৪ হাজার ১২৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন পজিটিভ ৫৩০ জনের মধ্যে শহরের ৩৩২ ও ১৪ উপজেলার ১৯৮ জন। উপজেলার ১৯৮ জনের মধ্যে বোয়ালখালীতে ৩৪, মিরসরাইয়ে ২৩, লোহাগাড়ায় ২১, হাটহাজারীতে ১৭, রাউজান ও সাতকানিয়ায় ১৬ জন করে, পটিয়ায় ১৫, বাঁশখালীতে ১১, ফটিকছড়িতে ১০, আনোয়ারায় ৯, চন্দনাইশে ৮, সীতাকু-ে ৭, সন্দ্বীপে ৬, ও রাঙ্গুনিয়ায় ৫ জন রয়েছেন। কর্ণফুলী উপজেলায় কোনো সংক্রমিত ব্যক্তি মিলেনি। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ লাখ ২৩ হাজার ৫৭৬ জন। এর মধ্যে শহরের ৮৯ হাজার ৯৯২ ও গ্রামের ৩৩ হাজার ৫৮৪ জন। গতকাল করোনায় শহর ও গ্রামে কেউ মারা যায়নি। ফলে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৫৯ জনই রয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ৭৩৪ জন ও গ্রামের ৬২৫ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ল্যাবে গতকাল সবচেয়ে বেশি ৬৫২ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়। এখানে শহরের ৩২ জন পজিটিভ হওয়ায় তাদের যাত্রা বাতিল করা হয়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ৫২১টি নমুনার মধ্যে শহরের ৯৮ ও গ্রামের ৩৩ টিতে জীবাণুর অস্তিত্ব মিলে। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ৪৪৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৭৪ ও গ্রামের ২৩ জনের শরীরে ভাইরাস শনাক্ত হয়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৮১ জনের নমুনায় শহরের ১ ও গ্রামের ৬ জন করোনায় আক্রান্ত বলে জানানো হয়। বিশেষায়িত কভিড-১৯ চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ পরীক্ষিত ৩৮ নমুনার মধ্যে শহরের ১০ ও গ্রামের ১১টির রেজাল্ট পজিটিভ আসে।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ৬১৮ নমুনার মধ্যে শহরের ২১ ও গ্রামের ৩৭ জন আক্রান্ত পাওয়া যায়। ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৪৫২ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৪২ ও গ্রামের ২১ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ে। আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ৩১৫টি নমুনায় শহরের ১৮ ও গ্রামের ৭টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব চিহ্নিত হয়। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ২২৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করলে শহরের ৭ জনের দেহে জীবাণুর অস্তিত্ব মিলে। এপিক হেলথ কেয়ারে ১৪৯টি নমুনার মধ্যে শহরের ১১ ও গ্রামের ২৯টির রেজাল্ট পজিটিভ হয়। মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ৭৭ জনের নমুনায় শহরের ৯ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ৩৪৩টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৯ ও গ্রামের ১৩টিতে ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে।
শহর ও গ্রামে নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ২০৪ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হলে গ্রামের ১৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে জানানো হয়।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ল্যাবে ৪ দশমিক ৯০ শতাংশ, চমেকহা’য় ২৫ দশমিক ১৪, বিআইটিআইডি’তে ২১ দশমিক ৬০, চবি’তে ৮ দশমিক ৬৪, আরটিআরএল-এ ৫৫ দশমিক ২৬, শেভরনে ৯ দশমিক ৩৮, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১৩ দশমিক ৯৪, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ৭ দশমিক ৯৩, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ৩ দশমিক ০৯, এপিক হেলথ কেয়ারে ২৬ দশমিক ৮৪, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ১১ দশমিক ৬৯, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ৬ দশমিক ৪১ এবং এন্টিজেন টেস্টে ৮ দশমিক ৮২ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়। সূত্র: বাসস