- জনস্বাস্হ্য বিশেষজ্ঞ ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়ার বন্দর হাসপাতাল পরিদর্শন
বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: বন্দর হাসপাতালে করোনা চিকিৎসার জন্য আইসোলেশন জোন এবং চিকিৎসা ইউনিট থাকবে। পাশাপাশি আইসিইউ এবং অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থাও রাখা হবে। এ লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে।
বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) জাফর আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে এ প্রসঙ্গে বললেন, যত কম সময়ের মধ্যে সম্ভব করোনা চিকিৎসা সুবিধা তৈরির লক্ষ্যে পুরোদমে কাজ চলছে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের অনুরূপ করোনা চিকিৎসা সুবিধা বন্দর হাসপাতাল থেকেও দেয়া সম্ভব হবে আশা প্রকাশ করে বলেন, সেখানে সম্পূর্ণ পৃথকভাবে এই ব্যবস্থা নেয়া হবে। হাসপাতালের নতুন তৈরি ভবনে তার সুযোগ রয়েছে। চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক এবং অন্যান্য জনবল নিয়োগ দেয়া হবে। আর কিছু ইক্যুইপমেন্ট সংগ্রহ করতে হবে। দরকার হবে অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থার।
জানান, করোনা চিকিৎসা শুরু করার পর নিবিড় পরিচর্যা ইউনিট ( আইসিইউ) করার পরিকল্পনা রয়েছ। এরজন্য প্রয়োজনীয় জনবলের বিষয়টি বিবেচনা করে কত শয্যার আইসিইউ করা হবে তার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
জনস্বাস্হ্য বিশেষজ্ঞ ও চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতালের প্রধান উদ্যোক্তা ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া সোমবার বন্দর হাসপাতাল সরেজমিনে দেখেন এবং সুযোগ-সুবিধাগুলোর ব্যাপার খোঁজ নেন। এ সময়ে বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ, সদস্য ( প্রশাসন ও পরিকল্পনা ) জাফর আলমসহ কয়েকজন কর্মকর্তা সেখানে ছিলেন। করোনা চিকিৎসা ব্যবস্থা সেখানে কিভাবে গড়ে তোলা যায় এবং তার জন্য জনবল ও অন্যান্য কি কি ইক্যুইপমেন্ট প্রয়োজন হবে তা নিয়ে কথা হয়েছে বিদ্যুৎ বড়ুয়ার সাথে। তিনি দু’য়েকদিনের মধ্যে আরও বিস্তারিত অবহিত করবেন বন্দর কর্তৃপক্ষকে।
বন্দর প্রশাসন যথাসম্ভব স্বল্প সময়ের মধ্যে করোনা চিকিৎসা পুরোদমে শুরু করতে চায়। এর জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে সপ্তাহ তিনেকের মত লেগে যেতে পারে বলে অনুমান করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতালে সরকার ৪ জন চিকিৎসককে ডেপুটেশনে দিয়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে চিকিৎসকের জন্য অনুরোধ জানাতে পারে বলে জানা গেছে।
সরকারের নির্দেশ এবং বন্দর সিবিএ’র চাপ রয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর হাসপাতালে পৃথক করোনা ইউনিট চালু করার। তাছাড়া, চট্টগ্রামে করোনা চিকিৎসা সেবার ক্ষেত্রে খুব খারাপ পরিস্থিতি। করোনা মহামারী দীর্ঘ সময় ধরে বিরাজ করতে পারে। এসব বিবেচনায় বন্দর হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা সেবা শুরুর বিষয় নিয়ে রবিবার একটি সভায় বিস্তারিত আলোচনা হয়। বন্দরের সদস্যবৃন্দ, চিফ মেডিক্যাল অফিসার, ডেপুটি ম্যানেজার (এস্টেট) সহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। করানা আক্রান্ত বা করোনার উপসর্গ রয়েছে এমন রোগীদের জন্য বন্দর রিপাবলিক ক্লাবে ১০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে নিয়মিত চিকিৎসা সেবা প্রদানে কিছুটা সমস্যা দেখা দেয়। তাই সেখান থেকে সরিয়ে বন্দর হাসপাতালের নতুন ভবনে আইসোলেশনে রোগীদের রাখার সিদ্ধান্ত হয় সভায়। নতুন ভবনে দু’টি ব্লক এখনও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বন্দর কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করেনি। সেখানে করোনা চিকিৎসা ব্যবস্থার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।