বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
করোনা সংক্রমণে বিশ্বে সব দেশের শীর্ষে ভারত। এ অবস্থার মধ্যেও আগস্টে গাড়ি বিক্রি বেড়েছে ১৪.১৬ শতাংশ।
সোসাইটি অব ইন্ডিয়ান অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারার্স (সিয়াম)- জানিয়েছে, গত বছর আগস্টে ভারতে মোট গাড়ি বিক্রি হয়েছিল ১ লাখ ৮৯ হাজার ১২৯ ইউনিট। সেই তুলনায় এ বছর আগস্ট মাসে গাড়ি বিক্রির পরিমান অধিক। মোট ২ লাখ ১২ হাজার ৯১৬ ইউনিট গাড়ি বিক্রি হয়েছে।
জুলাই মাসে ১ লাখ ৮২ হাজার ৭৭৯ইউনিট গাড়ি বিক্রি হয়েছিল।জুলাই মাসে গাড়ি বিক্রি কমেছিল ৩.৮৬ শতাংশ।
বিক্রি বাড়ার কারণ হিসেবে করোনাভাইরাস ও লকডাউনকেই দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের বক্তব্য, করোনা সংক্রমণ নিয়ে আতঙ্ক ও লকডাউনের ফলে গণপরিবহণে সমস্যা, এই দু’ কারণের ফলে গাড়ি বিক্রি বাড়ছে।
কারণ, করোনা মানুষকে সামাজিক দূরত্ব রক্ষা নিয়ে সচেতন করছে। এর ফলে অনেকেই আর ভিড় বাসে, ট্রেনে উঠতে চাইবেন না। নিজের গাড়িতে সুরক্ষিত যাত্রা করতে চাইবেন। সেই কারণেই লকডাউন ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই ভারতে বাড়তে শুরু করেছে গাড়ি বিক্রি।
এপ্রিল মাসে একই ইঙ্গিত দিয়েছিল মারুতি সুজুকি। তারা জানিয়েছিল, করোনাভাইরাস ভারতের গাড়ি শিল্পের জন্য সুদিন নিয়ে আসতে পারে। মারুতি সুজুকির চেয়ারম্যান আর সি ভার্গভ গণমাধ্যমকে জানান, লকডাউন শেষ হলে ভারতে গাড়ি বিক্রি অনেকটা বাড়তে পারে। লকডাউনের পরেও সংক্রমণ থেকে দূরে থাকতে মানুষ সামাজিক দূরত্ব চালিয়ে যাবে। আর তার জন্যই বাড়বে গাড়ি বিক্রি। তাঁর কথায়, “ভারত আর আগের মতো থাকবে না, মানুষের মানসিকতা অনেকটা বদলে যাবে।” দেশীয় বাজারে বিক্রি এবং বিদেশে রফতানি, দু’ইয়ে মিলে মারুতি-সুজুকির বিক্রি গত বছরেরেআগস্টের তুলনায় বেড়েছে ১৭.১ শতাংশ।
অতিমহামারীর ফলে অন্যান্য গাড়ি নির্মাতা সংস্থার মতো কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে মারুতি-সুজুকিও। কিন্তু আগস্টের বিক্রির পরিমাণ দেখে পর্যবেক্ষকদের ধারণা, ধীরে ধীরে চাঙ্গা হচ্ছে গাড়ির বাজার।
লকডাউনের কারণে ভারতে গাড়ি উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। তার ফলে বিভিন্ন ডিলারের শো-রুমে বহু কর্মী কাজ হারাতে পারেন বলে আশংকা করা হয়েছে। সংখ্যাটা কয়েক লক্ষও হতে পারে। এখন উৎপাদন কতটা বাড়বে তা নির্ভর করবে গাড়ির চাহিদা কতটা বাড়বে তার ওপর।