Home আন্তর্জাতিক চিনে শেষকৃত্যের জন্য মৃতদেহ নিয়ে লম্বা লাইন

চিনে শেষকৃত্যের জন্য মৃতদেহ নিয়ে লম্বা লাইন

 

করোনার তথ্য গোপন করছে জিনপিং সরকার: হু 

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক

করোনা সংক্রমণ মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে চিনে। আমেরিকার প্রকাশ করা একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, চিনে প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষই সংক্রমিত । প্রতিদিন হাজারে হাজারে সংক্রমণ ধরা পড়ছে। মৃত্যু লাখের বেশি। এইসব তথ্যই সুকৌশলে শি জিনপিং সরকার গোপন করছে বলে দাবি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু)।

ডিসেম্বরের গোড়ায় করোনাভাইরাসের নতুন উপপ্রজাতি ওমিক্রন বিএফ.৭-এর  কারণে চিন জুড়ে শুরু হয় নয়া সংক্রমণ-পর্ব। সে সময় হু প্রধান টেড্রস অ্যাদানম গিব্রিয়েসাস বলেছিলেন, চিনে করোনায় ঠিক কতজনের মৃত্যু হচ্ছে সে ব্যাপারে সঠিক খবর সামনে আসছে না। চিন আবারও আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা গোপন করছে। এদিকে মার্কিন গোয়েন্দারা খবর দিচ্ছে, চিনে হাজারে হাজারে প্রাণ যাচ্ছে প্রায় রোজই। এমনকি আগামী তিন মাসের মধ্যে চিনে অন্তত ২০ লাখ মানুষের করোনায় মৃত্যু হতে পারে বলে অনুমানও করা হচ্ছে।

হু প্রধান বলছেন, করোনা কতটা ছড়াচ্ছে, কতজন আক্রান্ত হচ্ছেন, সংক্রমণের কী কী উপসর্গ দেখা দিচ্ছে তা সঠিকভাবে জানাতে হবে চিনকে। তাহলেই এই অতি সংক্রামক করোনার প্রজাতিকে ঠেকাতে আগাম ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।

চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন ঘোষণা করেছে, কোভিড-সংক্রমণ সংখ্যার মতো কোনও তথ্য আর প্রকাশ করা হবে না। এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য চিনের ‘সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’-এর তরফে জানানো হবে। হঠাৎ কেন এই সিদ্ধান্ত তাও জানানো হয়নি। এদিকে শহরের হাসপাতালের আইসিইউ উপচে যাচ্ছে রোগীতে। শেষকৃত্যের স্থানে মৃতদেহ নিয়ে পরিজনদের লম্বা লাইন।

পশ্চিমের সংবাদমাধ্যগুলি দাবি করেছে, শহরের ২-৩টি শ্মশানকে করোনার রোগীদের দেহ সৎকারের জন্য রাখা হয়েছে। গত সোমবার থেকে সেখানে প্রতি পাঁচ মিনিট অন্তর একটি করে শববাহী গাড়িকে দেখা যাচ্ছে। একটা সময় গাড়ির সংখ্যা এতো বেড়ে গিয়েছিল যে শ্মশানের সামনে লাইন পড়ে গিয়েছিল। কোনও সংবাদমাধ্যমকেই সেখানে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমগুলির আরও দাবি, মৃতদেহ লোপাট করতে আরও একাধিক পদক্ষেপ নিচ্ছে শি জিনপিং সরকার। শববাহী গাড়ি যাওয়ার রাস্তার সিসিটিভিও প্রশাসনের তরফে খুলে রাখা হয়েছে। শহরতলি বা গ্রামের শ্মশানগুলিতে নিত্যদিন কত মানুষকে দাহ করা হচ্ছে, তার কোনও তথ্য দিচ্ছে না চিনে সরকার। এখান থেকেই সন্দেহ আরও বাড়ছে।