বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
এখনই কোভিড থেকে মুক্তি পাচ্ছে না বিশ্ব। এমনই আশঙ্কার কথা শোনাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা । সেই সঙ্গে আগামী দিনে আরও বিপজ্জনক কোভিড ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কে সতর্কবার্তা শোনাল হল সংস্থার পক্ষ থেকে। আহ্বান জানানো হল কোভিড বিধি মেনে চলার। বর্তমানে সারা বিশ্বে করোনার দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যুতে লাগাম টানা গেলেও, এখনই মুক্তির কোনও সম্ভাবনা নেই বলে মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা । আগামী দিনে আরও মারাত্মক এবং সংক্রামক করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টের উত্থানের সম্ভাবনা রয়েছে বলে সর্তক করছেন WHO প্রধান টেড্রোস ঘেব্রেয়েসাস। আগের তুলনায় ওমিক্রনের এবারের সাব-ভ্যারিয়েন্টগুলির ঝুঁকি অনেক বেশি এবং বিপজ্জনক বলে জানান তিনি।
চলতি সেপ্টেম্বর মাসে এই নতুন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাবে বলে বুধবার সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ঘেব্রেয়েসাস জানিয়েছেন। এর ফলে হাসপাতালগুলিতে রোগী ভর্তির সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি, মৃত্যুও বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। এই মুহুর্তে কোভিড থেকে যে নিস্তার নেই এবং আগামী বছরগুলিতে কোরনাকে সঙ্গে নিয়েই থাকতে হবে বলে আগেই জানিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংখ্যা । কোভিডকে ) সঙ্গে করে বেঁচে থাকার অর্থ এই নয় যে, কোভিড বিধি মানব না- এই ধারণা ঠিক নয় বলে জানিয়েছেন হু প্রধান। ভাইরাস যাতে মারাত্মক আকারে ছড়িয়ে না পড়ে, সেদিকে সকলের নজর দেওয়া উচিত বলে মনে করছেন ঘ্রেবেয়েসাস।
WHO প্রধান আরও বলেন যে কোভিডের সাথে বেঁচে থাকার অর্থ হল, সংক্রমণ এড়াতে সহজ সতর্কতা অবলম্বন করা। বর্তমানে সারা বিশ্বে যে কোভিডবিধি রয়েছে, প্রয়োজনে তা পরিবর্তনের পক্ষে সওয়াল করেছেন টেড্রোস। বিশ্বে যেভাবে কোভিড টিকাকরণ চলছে তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন হু প্রধান। ধনী দেশগুলিতে এখনও ৩০ শতাংশ স্বাস্থ্যকর্মী এবং ২০ শতাংশ বয়স্ক মানুষের টিকাকরণ হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি। টিকাদানের এই ফাঁকগুলি সকলের জন্য ঝুঁকি তৈরি করছে বলে দাবি করেন। যারা এখনও টিকার দু’টি ডোজ বা বুস্টার নেয়নি, তাদের ডোজ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
এদিকে, গত সপ্তাহে বিশ্বে নতুন করে করোনায় ৪.৫ মিলিয়ন মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা । মৃত্যু হয়েছে ১৩ হাজার ৫০০ জনের। আগের সপ্তাহের তুনলায় সংক্রমণ ১৬ শতাংশ কম। মৃত্যু কমেছে ১৩ শতাংশ। একমাত্র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সংক্রমণের গ্রাফ বেশ উদ্বেগজনক বলে জানিয়েছে হু। এই অঞ্চলের দেশগুলিতে ১৫ শতাংশ এবং পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ৩ শতাংশ সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে রিপোর্ট।