বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
কর্নাটক: আমাদের হিজাব পরে ক্লাসরুমে বসার অনুমতি দেওয়া হোক’। আদালতে এমনই আবেদন জানিয়েছিলেন দুই ছাত্রী। এরপরে শুক্রবার তাঁরা বোরখা পরে ক্লাস টুয়েলভের বোর্ড পরীক্ষা দিতে আসেন। কিন্তু তাঁদের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়নি।
ওই দুই ছাত্রীর নাম আলিয়া আসাদি এবং রেশাম। তাঁরা পরীক্ষা দেওয়ার জন্য হল টিকিট সংগ্রহ করেছিলেন। তাঁদের সিট পড়েছিল উদীপির বিদ্যোদয়া পিইউ কলেজে। তাঁরা ৪৫ মিনিট ধরে কলেজের প্রিন্সিপাল এবং ইনিভিজিলেটরদের বোঝাতে চেষ্টা করেন, কেন তাঁদের বোরখা পরে পরীক্ষা দিতে দেওয়া উচিত । কিন্তু শেষ পর্যন্ত দু’জনকে পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে ফিরে যেতে হয়।
কর্নাটকে ক্লাস টুয়েলভের বোর্ড পরীক্ষা নিচ্ছে রাজ্যের প্রি ইউনিভার্সিটি বোর্ড। রাজ্যের শিক্ষা দফতর জানিয়েছে, পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৬ লক্ষ ৮৪ হাজার ২৫৫। মোট ১০৭৬ টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হবে। পরীক্ষার্থীদের ড্রেস কোড নিয়ে যাতে কোনও অবাঞ্ছিত ঘটনা না ঘটে, সেজন্য বিশাল সংখ্যক পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে।
রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী বি সি নাগেশ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, হিজাব পরে কেউ পরীক্ষা দিতে পারবেন না। এর আগে অনেক ছাত্রী শিক্ষামন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানিয়েছিলেন, তাঁদের হিজাব পরে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হোক।
১৭ বছর বয়সী আলিয়া আসাদি গত সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইয়ের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন, তাঁদের ভবিষ্যৎ যাতে নষ্ট না হয়, সেজন্য তিনি যেন উদ্যোগ নেন। রাজ্য স্তরের ক্যারাটে চ্যাম্পিয়ন আলিয়ার বক্তব্য ছিল, পরীক্ষাকেন্দ্রে হিজাব নিষিদ্ধ করলে অনেক ছাত্রীই পরীক্ষা দিতে পারবেন না।
গত ১৫ মার্চ কর্নাটক হাইকোর্ট রায় দেয়, হিজাব পরে কাউকে ক্লাসরুমে ঢুকতে দেওয়া হবে না। কারণ হিজাব ইসলামের অত্যাবশ্যকীয় অঙ্গ নয়। শিক্ষায়তনে সকলেরই পোশাক বিধি মেনে চলা উচিত।