Home চট্টগ্রাম কর্মপরিবেশ উন্নয়নে একসাথে কাজ করবে বিজিএমইএ ও কল-কারখানা অধিদপ্তর

কর্মপরিবেশ উন্নয়নে একসাথে কাজ করবে বিজিএমইএ ও কল-কারখানা অধিদপ্তর

 

চট্টগ্রাম: রবিবার ( ২২ নভেম্বর)  বিজিএমইএ’র আঞ্চলিক কার্যালয়-এর সম্মেলন কক্ষে, কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম এর নবনিযুক্ত উপ-মহাপরিদর্শক  আবদুল্লাহ্ আল সাকিব মুবাররাত এর সাথে বিজিএমইএ নেতৃবৃন্দের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতিমোহাম্মদ আবদুস সালাম এর সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন- বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি  এ. এম. চৌধুরী সেলিম, পরিচালক মোহাম্মদ মুসা, মোহাম্মদ আতিক, খন্দকার বেলায়েত হোসেন, এনামুল আজিজ চৌধুরী।

প্রাক্তন পরিচালক ও লেবার এন্ড ফায়ার বিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান সাইফ উল্লাহ মনসুর, কো-চেয়ারম্যান মোহাম্মদ তসলিম সহ পোশাক শিল্পের মালিকবৃন্দ কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম-এর এআইজি  শিপন চৌধুরী, ইঞ্জিঃ শরীফ আহমেদ আজাদ, ডাঃ বিশ্বজিৎ রায় সহ অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আবদুস সালাম নব-নিযুক্ত উপ-মহাপরিদর্শক সহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের স্বাগত জানিয়ে বলেন- বিশ্বব্যাপী চলমান করোনা সংক্রমণের প্রেক্ষিতে পোশাক শিল্প বর্তমানে অত্যান্ত সংকটময় পরিস্থিতি অতিক্রম করছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক এই দূর্যোগকালে স্বল্প সুদে ঋণ প্রনোদণা সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে রপ্তানীমুখী শিল্প খাত ঘুরে দাঁড়ানোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন, এরজন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতাজানান।

তিনি বলেন- পোশাক শিল্প কর্তৃক প্রতিটি রপ্তানি চালানের বিপরীতে শ্রমিক কল্যাণে ফান্ডে ০.০৩% হারে জমা প্রদান করা হচ্ছে। উক্ত ফান্ড থেকে সংকটময় পরিস্থিতিতে চট্টগ্রামস্থ পোশাক শিল্প মালিকদের অস্তিত্ব রক্ষার্থে যাতে ঋণ হিসাবে নেওয়া যায় সে’বিষয়ে ডিআইডি’র ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। করোনাকালীন পরিস্থিতিতে যে সকল শ্রমিক চাকুরীচ্যুত হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন কর্তৃক তাদেরকে কল-কারখানা অধিদপ্তরের মাধ্যমে ০৩ মাসের বেতন-ভাতা প্রদানের জন্য শ্রতিশ্রুতি দিয়েছে। উক্ত বিষয়ে যাতে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকরা উক্ত সুবিধা সহজে পেতে পারে সে’বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনি অনুরোধ করেন। শ্রমিক অসন্তোষ নিরসনে সংশ্লিষ্ট সকলের সহিত আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত সূরাহার লক্ষ্যে বিজিএমইএ ও ডাইফ যৌথভাবে কাজ করবে। তিনি আরো বলেন- চট্টগ্রাম কেন্দ্রীক চলমান উন্নয়ন কর্মকান্ড যথাক্রমে- কর্ণফুলী টানেল, মিরশ্বরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল, আনোয়ারা অর্থনৈতিক অঞ্চল ইত্যাদির কার্যক্রম সমাপ্তির শেষে চট্টগ্রামে প্রচুর বিদেশী বিনিয়োগ সহ বিপুল সংখ্যক পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠান সহ কল-কারখানা স্থাপিত হয়ে চট্টগ্রামে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে। ফলে কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর (ডাইফ) এর কার্যক্রমও দিন দিন বৃদ্ধি পাবে।

নব-নিযুক্ত উপ-মহাপরিদর্শক জনাব আবদুল্লাহ্ আল সাকিব মুবাররাত বলেন- মালিকদের চাহিদা- কারখানায় উৎপাদন কার্যক্রম সচল থাকুক, শ্রমিকদের চাহিদা- সময়মত বেতন। মালিক-শ্রমিক কোন ধরনের সমস্যা হলে তা আলোচনা/সমঝোতার মাধ্যমে দ্রুত সমাধান পূর্বক কারখানার সুষ্ঠু কর্মপরিবেশ বজায় থাকুক তা সরকারের প্রত্যাশা। কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ সহ কোন ধরণের সমস্যা সৃষ্টি হলে তা দ্রুত যাচাই-বাছাই পূর্বক বিজিএমইএ’র সাথে আলোচনার মাধ্যমে তা দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হবে। তিনি আরো বলেন- পোশাক শিল্প কারখানার লাইসেন্স নবায়নের ক্ষেত্রে কার্যক্রম সহজীকরণ পূবৃক দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ হবে মর্মে তিনি আশ্বাস প্রদান করেন।

অনুষ্ঠান শেষে কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর কর্তৃক প্রকাশিত কর্মক্ষেত্রে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও প্রতিকারে পেশাগত সুরক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক নির্দেশিকা বই বিজিএমইএ সদস্য পোশাক শিল্প মালিকদেরকে বিতরণের লক্ষ্যে ডিআইজি কর্তৃক বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি বরাবরে হস্তান্তর করা হয়। মতবিনিময় শেষে সরকারের বৃক্ষ রোপন কর্মসূচীর আওতায় বিজিএমইএ’র কার্যালয় প্রাঙ্গনে ডাইফ প্রদত্ত বৃক্ষ রোপন উদ্বোধন করা হয়।

-সংবাদ বিজ্ঞপ্তি