কলকাতা: কল্লোলিনী কলকাতা। নাগরিক সৌন্দর্যে সে তিলোত্তমা। বনেদিয়ানার সঙ্গে আধুনিকতার ছন্দময় মেলবন্ধন ঘটেছে এই কলকাতা শহরে। ঐতিহাসিক ব্রিটিশ স্থাপনা আর ব্রিটিশ উপমহাদেশীয় অভিব্যক্তিতে সমৃদ্ধ। প্রাশ্চাত্য শিল্পের সঙ্গে প্রাচীন শিল্পশৈলীর অপূর্ব মিশ্রণ। তবে এইসবই চেনা দিক। পরিচিত তথ্যের বাইরেও কলকাতার ঐতিহ্য আরও বিস্তৃত। অনেক কলকাতাবাসীর কাছে যা অজানা! এখানে আমরা না-জানা কলকাতার সেইসব কিছু দিক তুলে ধরছি।
দেশের সবচেয়ে পুরনো বন্দর খিদিরপুর। দেশের একমাত্র নদী বন্দরও। নিউ ইয়র্কের মেট্রোপলিটান মিউজিয়াম (এমইটি)-এর এশিয়ার প্রতিনিধিত্ব করে খিদিরপুর বন্দর।
বিশ্বের বৃহত্তম অবাণিজ্যিক মেলা হল কলকাতা বইমেলা। অনেকগুলি রেকর্ড আছে কলকাতা বইমেলার দখলে। ফ্র্যাঙ্কফুট বইমেলা এবং লন্ডন বইমেলার পর কলকাতা বইমেলা বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম। এশিয়ার সর্ববৃহৎ বইমেলার পাশাপাশি উপস্থিতির হারে বিশ্বে প্রথম।
এশিয়ার সবচেয়ে বড় বিড়লা প্ল্যানেটেরিয়াম এই শহরেই অবস্থিত। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্ল্যানেটেরিয়াম এটি। কলকাতা ভারতের একমাত্র শহর যেখানে হাতে-টানা রিক্সা রয়েছে, এখনও।
দেশের সবচেয়ে প্রাচীন তো বটেই, বিশ্বের প্রাচীন টুর্নামেন্টগুলির মধ্যে কলকাতা ফুটবল লিগ দ্বিতীয়। ১৮৯৮ সালে শুরু। ক্যালকাটা ক্রিকেট ক্লাবও বিশ্বে দ্বিতীয় প্রাচীন ক্লাব।
দেশের সবচেয়ে বড় লাইব্রেরি কলকাতাতেই, ন্যাশনাল লাইব্রেরি। পৃথিবীর প্রাচীন পোলো ক্লাব কলকাতায় অবস্থিত, ক্যালকাটা পোলো ক্লাব। গ্রেট ব্রিটেনের বাইরে প্রথম কলকাতায় স্থাপিত হয় গল্ফ ক্লাব, ‘দ্যা রয়্যাল ক্যালকাটা গল্ফ ক্লাব’।