আমিরুল মোমেনিন
ঢাকা: দীর্ঘ বিনিয়োগ বিনিয়োগ স্থবিরতা কাটিয়ে ওঠার সাথে সাথে ব্যাংকগুলোতে কমেছে উদ্বৃত্ত তারল্য। এই পরিস্থিতিতে বাড়ছে নগদ টাকার চাহিদা। তাতে কলমানি মার্কেটে সুদহারও বেড়ে গেছে। রবিবার সুদহার ছিল ৯ শতাংশ পর্যন্ত। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এই হারে ঋণ নিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ করা পরিসংখ্যানে দেখা যায়, রবিবার কলমানি মার্কেট থেকে ১৪ দিনের জন্য ৫ কোটি টাকা ধার করেছে একটি ব্যাংক। এই ধারের জন্য ব্যাংকটি ৯ শতাংশ সুদ প্রদান করবে।সর্বোচ্চ ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ সুদে ৯১ দিন মেয়াদে কলমানি মার্কেট থেকে ৩১ কোটি টাকা ধার দেওয়া-নেওয়া করেছে ব্যাংকগুলো। সর্বোচ্চ ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ সুদে ৯২ দিন মেয়াদে ৫৩ কোটি টাকা ধার দেওয়া-নেওয়া করে ব্যাংকগুলো।
করোনা মহামারীর মধ্যে ঋণের চাহিদা ছিল কম। তখন বিশাল তারল্য জমে যায় ব্যাংকগুলোতে। বাংলাদেশ ব্যাংক গত আগস্টে স্বল্প মেয়াদের বিল নিলাম শুরু করে। এতে ব্যাংকগুলোর তারল্য বিনিয়োগ গতিশীল হয়। ব্যাংকগুলো মাসে ১৮ হাজার থেকে ১৯ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে। এ অবস্থায় গত ১৫ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক অনলাইনে কলমানি মার্কেটের লেনদেন চালু করে। তারপর থেকে বাড়ছে কলমানি মার্কেটে সুদহার। অনলাইনে লেনদেন চালুর আগে এই মার্কেটে সর্বোচ্চ সুদহার ছিল ৫ দশমিক ২৫ শতাংশ। গড় সুদহার ছিল ৩ শতাংশের ঘরে। মূলত ২০১৪ সালের পর থেকে সুদহার স্থিতিশীল ছিল। এর আগে ২০১০ সালে কোরবানির ঈদের সময় কলমানির সুদহার ১৯০ শতাংশে ওঠে। পরবর্তীতে আর তেমন হয়নি।
করোনা সংকট কাটিয়ে দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। তাতে কয়েক মাস ধরে ঋণের চাহিদা বাড়ছে। এ অবস্থায় ব্যাংকের হাতে থাকা তারল্য ধীরে ধীরে কমে আসছে। ফলে কলমানিতে নগদ টাকার চাহিদা বাড়ায় বেড়েছে এই মার্কেটের ঋণের সুদের হারও।