Home First Lead কলাপাড়া উপকূলে মাটির বদলে বালির বাঁধ

কলাপাড়া উপকূলে মাটির বদলে বালির বাঁধ

রাকিবুল ইসলাম তনু, পটুয়াখালী থেকে: পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় কুয়াকাটায় তৈরি করা হচ্ছে ৫৫ কিলোমিটার  উপকূলজুড়ে বেড়িবাঁধ। সেই বাঁধের নির্মাণ কাজ নিয়ে ভয়াবহ রকমের অনিয়মের অভিযোগ স্থানীয় জনসাধারণের।
তারা জানান, নির্মাণ কাজে এটেল মাটি ব্যবহারের নির্দেশ রয়েছে কার্যাদেশে। কিন্তু বাস্তবে সেটা করা হচ্ছে না অধিকতর মুনাফার লোভে। ব্যবহার হচ্ছে ৮০ ভাগ বালি, আর ৩০ ভাগ কাদামাটি। বাঁধের গোড়া থেকে ড্রেজিং করে বালি দেয়া হচ্ছে। এতে সেখানে সৃষ্টি হচ্ছে বিরাট বিরাট খাদ। মাটির পরিবর্তে বালি ব্যবহার এবং একেবারে কাছে থেকে ড্রেজিং করায় বেড়িবাঁধের স্থায়ীত্ব নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। সংরক্ষিত বনভূমি থেকেও বালি নেয়া হচ্ছে বাঁধের জন্য।
উপজেলার ধুলাস্বার-লতাচাপলী হয়ে কুয়াকাটা জিরো পয়েন্ট থেকে খাজুরা পর্যন্ত ৪৩/২সি এবং ৪৮ দুটি পোল্ডাওে ৫৫ কিলোমিটার বেরীবাঁধ সংস্কারের কার্যাদেশ পায় চীনা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানে সিকো। অভিযোগ রয়েছে নিজেরা কাজ বাস্তবায়ন না করে স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের সাব-কন্ট্রাক দিয়ে কাজ বাস্তবায়ন করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। মাঠ পর্যায়ে তদারকি না থাকায় মাটির পরিবর্তে অবৈধ ড্রেজার লাগিয়ে বালু দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে বাঁধের অবকাঠামো।
এ,কে,এম,মজিবুর রহমান, কনস্ট্রাশন সুপারভিশন ইঞ্জিনিয়ার, উপকুলীয় বেড়িবাঁধ নির্মান প্রকল্প জানান,   ড্রেজার অবশ্যই   নিষিদ্ধ এবং বেড়িবাঁধ সংস্কারে বালি দিয়ে কাজ করার কোন নিয়ম নেই, যেখানেই বালি দেখেছি সেখানেই আমরা বাধা দিয়েছি,   বালি দিয়ে কাজ করা যাবে না  তাদেরকে চিঠি দেওয়া আছে।   যদি কেউ বালি দিয়ে কাজ করে তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়ার কথা জানালেন কলাপাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের এই কর্মকর্তা।
 পানি উন্নয়ন বোর্ড কলাপাড়া, নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আরিফ হোসেন জানান,  পটুয়াখালীর দুইটি উপজেলার তিনটি পোল্ডারেবাঁধ সংস্কারের কাজ হচ্ছে প্রায় ৮০.৫ কিলোমিটার। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে দুই শ’ ৭৭ কোটি ৪৫ লাখ ২৫ হাজার ৬৪৫ টাকা।  প্রকল্পের কাজ গত জুন মাসে শেষ হবার কথা থাকলেও দুই দফায় সময় বাড়িয়ে চলতি বছর জুন মাস পর্যন্ত করা হয়েছে।