Home আকাশপথ কাতার এয়ার, ইতিহাদ ও এয়ার এরাবিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে

কাতার এয়ার, ইতিহাদ ও এয়ার এরাবিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে

* ছাড় নয়, যাত্রীদের সঙ্গে এমন আচরণ কাম্যনয়: বেবিচক চেয়ারম্যান
*এজেন্টের লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ করা হবে
* ‘মে আই হেল্প ইউ’ ডেস্ক চালু

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

ঢাকা: বৃহস্পতিবার কাতার এয়ারের কোনো ফ্লাইটই ছিল না। তবু টিকিট বিক্রি করেছে কাতার, ইতিহাদ ও এয়ার এরাবিয়া। ইতিহাদের ফ্লাইটের সময় পিছিয়েছে, এরাবিয়ারও একই অবস্থা।

এই তিনটি এয়ারলাইন্স কেন যাত্রীদের নিয়ে  তুচ্ছতাচ্ছিল্য দেখানোর সাহস পেল তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান। সরাসরি এয়ারলাইনসগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।

তিনি বলেন, আপনারা দেখতে পাবেন এবার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর কোনো ছাড় নয়। নিরীহ যাত্রীদের সঙ্গে এমন আচরণ কিছুতেই সহ্য করা হবে না।

এই দুই এয়ারলাইন্সে কমপক্ষে দুইশ যাত্রী বৃহস্পতিবার বিমানবন্দরে গিয়ে জানতে পারেন সেদিন তাদের ফ্লাইট নেই। ভুক্তভোগীরা বলেন, দোহা থেকে যখন ট্রাভেলস এজেন্সির মাধ্যমে টিকিট কাটা হয় তখনই কনফার্ম করা ছিল ফেরার তারিখ। কিন্তু দেশে ফেরার পর তাদের কাছে আর কোনো বার্তা বা অন্য কোনো তথ্য আসেনি। এতে তারা নিশ্চিতই ছিলেন যে, কনফার্ম টিকিটের তারিখ ঠিকই আছে। কিন্তু বিমানবন্দরে পৌঁছে তারা গণশুনানিতে অংশ নিয়ে সংশ্লিষ্টদের মাধ্যমে জানতে পারেন যে, বৃহস্পতিবার বিকেলে কোনো ফ্লাইটই নেই। তাদের প্রশ্ন, যদি এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ আগেই জানিয়ে দিত তাহলে এত দূর থেকে এত আগে বিমানবন্দরে এসে এভাবে দুর্ভোগের শিকার হতে হতো না।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান বলেন, যাত্রীসেবার মান নিশ্চিতে এয়ারলাইন্সগুলোর আন্তরিকতায় ঘাটতি রয়েছে। যাত্রীদের এমন হয়রানি করা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এটা রীতিমতো অন্যায়। কাতার এয়ারওয়েজের কাছে এ ব্যাপারে কৈফিয়ত চাওয়া হবে এবং সংশ্লিষ্ট এজেন্টের লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ করা হবে।

বিমানবন্দরে যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে খুব শিগগিরই ‘মে আই হেল্প ইউ’ নামে একটি ডেস্ক চালু করা হবে জানিয়ে বেবিচক চেয়ারম্যান আরও বলেন, বিমানযাত্রীদেরও টিকিট করার সময় দেওয়া ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর ঠিকঠাকমতো দেওয়া হয়েছে কি না তা সচেতনভাবে দেখে নেওয়া এবং বিমানবন্দরে আসার আগে আরেকবার ফ্লাইট সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া উচিত। এছাড়া যাত্রীদের ভোগান্তি দূর করতে এয়ারলাইন্সগুলোর কর্মীদের ফ্লাইট শুরুর নির্ধারিত সময় ৪ ঘণ্টার আরও আগে থেকেই সহায়তা সেবা দেওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।