Home Second Lead কাদের মির্জা-বাদল গ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষ

কাদের মির্জা-বাদল গ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষ

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ৩ জন গুলিবিদ্ধসহ ৫০ আহত হয়েছেন।

শুক্রবার বিকেল ৫টা থেকে উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের চাপরাশিরহাট বাজারে দফায় দফায় ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

গুলিবিদ্ধরা হলেন- উপজেলার বড়রাজাপুর গ্রামের আবদুল ওয়াহিদের ছেলে সাইদুর রহমান (২৬), চরকাঁকড়া ইউনিয়নের সিরাজুল ইসলামের ছেলে নুরুল অমিত (২০), বসুরহাট পৌরসভার আবুল কালামের ছেলে রায়হান (২০)।

গুরুতর আহতরা হলেন- চরফকিরা ইউনিয়নের মো. কাঞ্চন (৬০), মুছাপুর ইউনিয়নের আবুল খায়েরের ছেলে মাসুদ (২৫), চরকাঁকড়া ইউনিয়নের আবদুস সাত্তারের ছেলে কামরুল হাসান (৩০), চরফকিরা ইউনিয়নের আবদুল মান্নানের ছেলে ফরহাদ (৪০), চরফকিরা ইউনিয়নের বোরহান উদ্দিন মুজাক্কির (২৮) বসুরহাট পৌরসভা এলাকার আদনান (২৪) ও মারুফ (২৫)।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. সেলিম বলেন, গুলিবিদ্ধ ৩ জনসহ গুরুতর আহত পাঁচজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বসুরহাটের মেয়র কাদের মির্জা বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ভেঙে দিলে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে বিরোধ স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলকে নিয়ে কাদের মির্জার ‘মিথ্যাচারের’ প্রতিবাদে চরফকিরা ইউনিয়নের চাপরাশীরহাট বাজারে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শুক্রবার বিকেলে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেয় মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারিরা। পরে বাদলের অনুসারীরা চাপরাশীরহাট বাজারে মিছিল করতে গেলে কাদের মির্জার সমর্থকদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে কাদের মির্জা উপস্থিত হলে উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। মুহূর্তের মধ্যে দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

এদিকে সংঘর্ষের পর নিজের ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে এসে নিজের দলের নেতাকর্মীদের ওপর চাপরাশিরহাট বাজারে হামলা হয়েছে বলে দাবি করেছেন মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। তার কোনো নেতাকর্মী মারা গেলে তার দায়দায়িত্ব সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন ও প্রশাসনকে নিতে হবে বলে জানান তিনি।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহিদুল হক রনি বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি। পরবর্তীতে এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

প্রসঙ্গত, কাদের মির্জা বৃহস্পতিবার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ভেঙে দিলে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে বিরোধ স্পষ্ট হয়ে ওঠে।