Home Second Lead কাবুলে তালিবান অভিযানে নিহত ৩ জঙ্গি

কাবুলে তালিবান অভিযানে নিহত ৩ জঙ্গি

ছবি সংগৃহীত

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক

এবার জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়তে হচ্ছে তালিবানকেও । সম্প্রতি কাবুলের একটি মসজিদে বিস্ফোরণ ঘটায় আইসিস জঙ্গিরা। তারপর কাবুলের উত্তর প্রান্তে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় তালিবান। স্থানীয় খাম্মা সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, কাবুলে ভারী ও হালকা অস্ত্রশস্ত্র থেকে গুলিবিনিময় হয়েছে। নিহত হয়েছে তিন আইসিস জঙ্গি।

গত রবিবার কাবুলের মসজিদে বিস্ফোরণ ঘটে। তালিবানের মুখপাত্র জাইবুল্লা মুজাহিদ নিজেই ওই সময়ে মসজিদে উপস্থিত ছিলেন। তাঁর মা মারা গিয়েছেন গত সপ্তাহে। মায়ের উদ্দেশে প্রার্থনা করার জন্য মসজিদে জড়ো হয়েছিলেন তিনি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। বেশ কিছু আত্মীয়, বন্ধুবান্ধব, অনুগামীরাও উপস্থিত ছিলেন।

ঘটনার পরে জাইবুল্লা মুজাহিদ টুইট করে জানিয়েছেন, কাবুলের ইদ গাহ মসজিদের ঠিক বাইরে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে।

এই বড়মাপের অনুষ্ঠান উপলক্ষে বন্ধ ছিল মসজিদের রাস্তা। ব্যারিকেড করা ছিল খানিকটা আগে। তার মধ্যেই বিকেলে আচমকাই কেঁপে ওঠে মসজিদ। বাইরেই ঘটেছে বিস্ফোরণ। এর পরেই শোনা যায় পরপর গুলির শব্দ।

কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ, অ্যাম্বুল্যান্স। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে। বেশ কিছু সংখ্যক সাধারণ মানুষ বোমায় মারা গেছেন বলে জানা গেছে, সংখ্যাটা এখনও নিশ্চিত করা হয়নি তালিবান সরকারের তরফে।

এর মধ্যে জানা যায়, আফগানিস্তানের বদখশান প্রদেশে সীমান্তে পাহারা দেওয়ার জন্য আত্মঘাতী বোমারুদের একটি ব্যাটেলিয়ন তৈরি করা হয়েছে। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমকে একথা জানিয়েছেন তালিবানের ডেপুটি গভর্নর মোল্লা নিসার আহমেদ আহমদি। বদখশানের সঙ্গে রয়েছে চিন ও তাজকিস্তানের সীমান্ত। আহমদি জানিয়েছেন, আত্মঘাতী ব্যাটেলিয়নের নাম দেওয়া হয়েছে ‘লস্কর ই মনসুর’। এর আগে আফগানিস্তানের প্রাক্তন সরকারের নিরাপত্তারক্ষীদের ওপরে আক্রমণের জন্য এমন আত্মঘাতী ব্যাটেলিয়ন তৈরি হয়েছিল।

আহমদি বলেন, আত্মঘাতী যোদ্ধারা না থাকলে আমেরিকাকে পরাজিত করা সম্ভব হত না। তারা শরীরের সঙ্গে বিস্ফোরক বহন করে নিয়ে যেত মার্কিন সেনা ঘাঁটিতে। সেখানে তারা বিস্ফোরণ ঘটাত।

এর পাশাপাশি কাবুল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে মোতায়েন করা হয়েছে বদরি ৩১৩ নামে এক ব্যাটেলিয়ন। তার সব সদস্যই আত্মঘাতী বোমারু।

সম্প্রতি তালিবান ঘোষণা করেছে, সেকেন্ডারি স্কুলে মেয়েদের পড়ার অধিকার দেওয়া হবে না। তার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার কাবুলে এক সেকেন্ডারি স্কুলের সামনে জড়ো হয়েছিলেন ছ’জন মহিলা। তাঁরা দাবি জানাচ্ছিলেন, মেয়েদেরও স্কুলের উঁচু ক্লাসে পড়ার অধিকার দিতে হবে। গুলি চালিয়ে তাঁদের হটিয়ে দিয়েছে তালিবান রক্ষীরা।

বিক্ষোভের সময় মহিলারা একটি ব্যানার তুলে ধরেন। তাতে লেখা ছিল, ‘আমাদের কলম ভেঙে ফেলবেন না। আমাদের বইগুলো পুড়িয়ে দেবেন না। আমাদের সামনে স্কুলের দরজা বন্ধ করে দেবেন না।’ কিন্তু তালিবান রক্ষীরা ব্যানারটি মহিলাদের হাত থেকে কেড়ে নেয়। তারপর বিক্ষোভকারীদের ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়। এক বিদেশি সাংবাদিক বিক্ষোভের ছবি তুলছিলেন। তাঁকে রাইফেলের বাঁট দিয়ে মারা হয়।