বিজনেসটুডে২৪ডেস্ক
সোমবার থেকেই আফগানিস্তানের কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ফের ক্লাস শুরু করছে, শোনার পর সেখানে ছাত্রীরা কী পোশাক পরে আসবে, সে ব্যাপারে নির্দেশ দিল তালিবান । মেয়েরা উচ্চশিক্ষায় সামিল হতে পারবে বলে জানালেও কো-এডুকেশন নিষিদ্ধ করেছে দুদশক বাদে ফিরে ক্ষমতায় দখল করা কট্টরপন্থীরা। পুরুষ শিক্ষকরা মেয়েদের পড়াতে পারবে না। তবে নির্দেশে সামান্য সংশোধন করে তালিবান বলেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে মহিলা শিক্ষকের সংখ্যা কম থাকলে সচ্চরিত্রের বয়স্ক পুরুষরা মেয়েদের পড়াতে পারবেন!
নয়া নির্দেশে বলা নেই, ছাত্রীদের বোরখা পরে আসতে হবে কিনা, যা প্রায় গোটা শরীর ঢেকে রাখে। তবে নিকাব পরতে হবে, যা মুখের বেশিরভাগটাই আড়াল করে। তালিবানের প্রত্যাবর্তনের পর আফগানিস্তানে বোরখা, নিকাবের জমানা ফিরছে বলে খবর সংবাদ সংস্থা এএফপির।
তালিবানি ডিক্রিতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে তাদের সঙ্গতি মতো ছাত্রীদের জন্য শিক্ষিকা রিক্রুট করতে হবে। পুরুষ, মহিলাদের ঢোকা, বেরনোর রাস্তা আলাদা হবে বলে ফতোয়া দিয়েছে তালিবান। বলেছে, মেয়েদের ছেলেদের ৫ মিনিট আগে ক্লাস শেষ করতে হবে যাতে তাদের মেলামেশার কোনও সুযোগই না থাকে।
তালিবান আফগানিস্তান পুনর্দখলের পর থেকে তাদের আচরণে পরিষ্কার, মেয়েদের কপালে দুর্গতির শেষ থাকবে না, ১৯৯৬-২০০০ সালের সেই অন্ধকার জমানা ফিরে আসছে, যদিও মুখে তারা মেয়েদের অধিকারকে শরিয়তের অনুমোদন মেনে সম্মান জানানোর কথা বলেছে।
এর মধ্যেই নয়া তালিবান সরকারে মেয়েদের সামিল করার জল্পনা কার্যত খারিজ হয়ে গিয়েছে। হেরাট, কাবুলে গত কয়েকদিন ধরে নয়া শাসন কাঠামোয় তাঁদের অন্তর্ভুক্তি চেয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন মহিলারা। কিন্তু শনিবার তাঁদের মিছিল প্রেসিডেন্টের প্যালেস অভিমুখে যাওয়ার সময় তাতে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে তালিবান। তবে তাঁদের অস্তিত্বের সঙ্কট হওয়ার আঁচ পেয়ে, প্রাণভয়ে শিল্পী, সাংবাদিক সহ একাধিক মহিলা দেশ ছেড়েছেন। তালিবান এও বলেছিল, দেশের নিরাপত্তার ভারপ্রাপ্ত সদস্যরা মেয়েদের সম্মান জানানোর মতো পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ পায়নি, তাই আপাততঃ কিছুদিন ঘরেই থাকুন তাঁরা। কিন্তু এই যুক্তি মানতে নারাজ স্বাধীনচেতা মহিলারা।