জলপাইগুড়ি : কার্বন ট্রেডিং অর্থাৎ চা বাগানে সঞ্চিত কার্বন বিক্রি করে জলপাইগুড়ি জেলার চা চাষিদের আয়ের নতুন পথ খোলার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়েছে।
গাছ নিজের গুঁড়ি, পাতার পাশাপাশি মাটিতে কার্বন সঞ্চয় করে রাখে। ওই সঞ্চিত কার্বনের পরিমাণ বিজ্ঞানসম্মতভাবে মাপার পদ্ধতি আছে। গোটা বছর ধরে যে পরিমাণ কার্বন কোন চা বাগান সঞ্চয় করল তার মাপজোখের পর সংশাপত্র মিলবে। সেটাকে বলা হয় কার্বন ক্রেডিট সার্টিফিকেট। এরপর মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে সেই সার্টিফিকেট কিনে নেবে বিদেশের বিদ্যুত, স্টিল, সিমেন্টের মতো আরও নানা দূষণ সৃষ্টিকারী শিল্প সংস্থাগুলি।
কার্বন ট্রেডিং প্রকল্প নিয়ে জলপাইগুড়ি জেলার ক্ষুদ্র চা চাষিরা যুক্ত হয়েছেন সলিডরিডেড এশিয়া নামে একটি এনজিওর সাথে। এই প্রকল্পে কমপক্ষে চার হাজার একর জমির চা বাগান চিহ্নিত করা হয়েছে।
ওই সংস্থার তরফে জার্মানির এডওয়ার্ড মার্জার জলপাইগুড়ির ক্ষুদ্র চা বাগানের পাশাপাশি ময়নাগুড়ির ভোটপট্টির স্বনির্ভর গোষ্ঠীর দ্বারা পরিচালিত চা ফ্যাক্টরি, অসম মোড়ের একটি বটলিফ ফ্যাক্টরি ও ডেঙ্গুয়াঝাড় চা বাগান পরিদর্শন করেন।
এডওয়ার্ড বলেন, চা বাগানে কার্বন ট্রেডিংয়ের সম্ভাবনা প্রচুর এবং খুব শীঘ্রই জলপাইগুড়িতে এই প্রজেক্ট পাইলট হিসেবে শুরু হবে। সমিতির সম্পাদক বিজয় গোপাল চক্রবর্তী এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, এই উদ্যোগ থেকে চা চাষীরা অতিরিক্ত আয় করতে পারবেন।