বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: দেশের দুই পুঁজিবাজারে বড় দরপতন হয়েছে বুধবার । বেশিরভাগ শেয়ারের দর কমায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক কমেছে ১ দশমিক ১৪ শতাংশ।
চলতি বছরের ২৭ এপ্রিলের পর এটিই সবচেয়ে বড় দরপতন। সেদিন এই সূচকটি কমেছিল ১ দশমিক ১৬ শতাংশ।
লেনদেনের শুরু থেকে পুঁজিবাজারে অস্থিরতা দেখা দিলেও দরপতন শুরু হয় দুপুর ১টার পর। বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সূচক ইতিবাচক ধারায় থাকলেও বিনিয়োগকারীদের মুনাফা তুলে নেওয়ার চাপে দুপুর ১টার পর থেকে পতন ধারা দেখা দেয়। লেনদেনের পরিমাণ আগের দিনের তুলনায় সামান্য বেড়ে ২ হাজার ৩০ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে।
বিনিয়োগকারীদের মুনাফা তুলে নেওয়ার চাপ থাকলেও দরপতনে কালো টাকা নিয়ে গুজবও রয়েছে। আসন্ন অর্থবছরে পুঁজিবাজারে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ থাকছে না, এমন গুজব ছড়িয়ে পড়ে। যদিও বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চলতি অর্থবছরে যে সুযোগ দেওয়া হয়েছে, তাতে পুঁজিবাজারে আশানুরূপ পরিমাণের অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগ হয়নি। সব মিলিয়ে চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে প্রায় ৪৫০ কোটি টাকার মতো অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগ হয়েছে। এ হিসাবে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ পুঁজিবাজারে তেমন প্রভাব ফেলেনি বলে মনে করছেন তারা।
বুধবারের দরপতনে ডিএসইতে তিনটি খাত ছাড়া অন্য সব খাত দর হারিয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে বীমা খাত। সাধারণ বীমা ৫ দশমিক ৩ ও জীবন বীমা ৪ শতাংশের বেশি বাজার মূলধন হারিয়েছে। দীর্ঘদিন ঊর্ধ্বমুখী ধারার পর গত কয়েক দিন ধরেই বীমা খাতে মূল্য সংশোধন চলছে। বস্ত্র খাতেও মুনাফা তুলে নেওয়ার প্রভাব পড়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি প্রভাব রেখেছে ব্যাংক ও প্রকৌশল খাত। দরপতনের বাজারে মিউচুয়াল ফান্ডে বাজার মূলধন বেড়েছে ৩ শতাংশের বেশি। সিরামিক, পাট ও ভ্রমণ খাতের শেয়ারও ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ছিল।