Home চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে ই-অকশন পদ্ধতি চালু

কাস্টম হাউসে ই-অকশন পদ্ধতি চালু

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম: প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের নিলাম শাখায় ই-অকশন পদ্ধতি চালু হয়েছে। এখন যে কোনো স্থান থেকেই আগ্রহীরা প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট উপস্থাপন করে নিলামে অংশ নিতে পারবেন।

মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের হল রুমে এ পদ্ধতির উদ্বোধন করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য মাসুদ সাদিক।

এ সময় কাস্টমস কর্মকর্তা, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও ব্যাংকের প্রতিনিধি এবং ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, ই-অকশন চালু হলে নিলামে অংশগ্রহণকারীরা পণ্যের দর, তালিকা, পণ্যের ছবি দেখতে পাবেন। প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত পূরণ করে ঘরে বসেই নিলামে অংশ নেয়া যাবে। একইভাবে ঘরে বসেই দেখতে পারবেন, কোন ক্যাটালগের সর্বোচ্চ বিডার কে হয়েছেন। এতে কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়াই নিলাম কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সদস্য মাসুদ সাদিক বলেন, ই-অকশন হচ্ছে আধুনিক ও যুগোপযোগী একটি পদ্ধতি। এতে কাস্টমসে অনিয়ম অনেকটা কমবে। কাস্টমসের কার্যক্রম আরও তরান্বিত হবে। চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস ডিজিটালাইজেশনের আওতায় এলে পণ্য আমদানিতে ওভার ইনভয়েসিং করে দেশ থেকে মুদ্রাপাচার রোধ করা যাবে। পাশাপাশি আগামীতে ই-পেমেন্ট পদ্ধতি শতভাগ চালু করা হবে। আগামীকাল সকাল থেকে যে কেউ ই-অকশনের মাধ্যমে নিলামে অংশ নিতে পারবে।

কাস্টম কর্মকর্তারা জানান, আটক পণ্য নিলামে তোলার ক্ষেত্রে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। বাংলাদেশ কাস্টমস আইনে একটি নীতিমালাও রয়েছে। এ ছাড়া কিছু কিছু পণ্য নিলামে তোলার ক্ষেত্রে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি লাগে। এতে সময়ক্ষেপণ হয়। নিলামে অংশগ্রহণকারীকে কাস্টমসের নিলাম শাখায় দৌড়ঝাঁপ করতে হয়। এতে তাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। পুরো নিলাম প্রক্রিয়া অনলাইনে হলে সেই ভোগান্তি থাকবে না।

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের নিলাম শাখার ডেপুটি কমিশনার ফয়সাল বিন রহমান বলেন, আগামী ২৮ অক্টোবর থেকে ই-অকশন চালু হবে। ব্যবসায়ীদের বুঝতে যাতে সমস্যা না হয় সে জন্য কাস্টমসের নিলাম শাখার একজন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তাকে দিয়ে হটলাইন চালু রাখা হয়েছে। যেকোনো সময় ফোন করে বিস্তারিত জানতে পারবেন ব্যবসায়ীরা।

ই-অকশন উদ্বোধনে ব্যবসায়ীদের বোঝানোর জন্য গত ২২ অক্টোবর একটি সেমিনার করা হয়েছিল।