Home আইন-আদালত কায়সারের মৃত্যু পরোয়ানা কারাগারে পৌঁছেছে

কায়সারের মৃত্যু পরোয়ানা কারাগারে পৌঁছেছে

বিজনেসটেুডে২৪ প্রতিনিধি

ঢাকা: মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও জাতীয় পাটির নেতা সৈয়দ মুহাম্মদ কায়সারের মৃত্যু পরোয়ানা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছেছে।

বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) লাল কাপড়ে মোড়ানো পরোয়ানাটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে কারাগারে পাঠানো হয়।

ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার সাঈদ আহমেদ বলেন, বুধবার (২১ অক্টোবর) কায়সারের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি তারা হাতে পান। কায়সার এখন ফাঁসির রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করতে পারবেন। তবে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের ১৫ দিনের মধ্যে আবেদন না করলে যে কোনো দিন রায় কার্যকর হতে পারে।

যুদ্ধাপরাধের দায়ে সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউয়ের আবেদন করে সাজা কমানোর নজিরবিহীন। এর আগে ফাঁসি কার্যকর হওয়া সব যুদ্ধাপরাধী রিভিউ আবেদন করেও সর্বোচ্চ সাজার রায় বদলাতে পারেনি।

রিভিউ আবেদন খারিজ হলেও অপরাধ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইতে পারবেন সৈয়দ কায়সার। তিনি যদি প্রাণভিক্ষা না চান এবং চেয়েও যদি ক্ষমা না পান, তাহলে রায় কার্যকরের ক্ষণগণনা শুরু হবে। রায় কার্যকরের আগে তিনি শেষবারের মতো পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পাবেন।

এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।

মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জে হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণের মতো যুদ্ধাপরাধের দায়ে সৈয়দ কায়সারকে ২০১৫ সালের ২৩ ডিসেম্বর মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।

১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় ‘কায়সার বাহিনী’ গঠন করে ওই দুই জেলায় যুদ্ধাপরাধে নেতৃত্ব দেন তখনকার এই মুসলিম লীগ নেতা। জিয়াউর রহমানের আমলে তিনি হয়ে যান বিএনপির লোক। হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সময় জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন সৈয়দ কায়সার।

রায়ে সৈয়দ কায়সারের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনা ১৬ অভিযোগের মধ্যে ১৪টি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়। তাকে দুই নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় সাজাও দেয়া হয়। ওই দুই বীরাঙ্গনার মধ্যে একজন এবং তার গর্ভে জন্ম নেওয়া এক যুদ্ধশিশু এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন।