Home Second Lead কিছুই নেই, তবুও ভিড় বিপ্লব উদ্যানে

কিছুই নেই, তবুও ভিড় বিপ্লব উদ্যানে

এরকম ৪টি লোহার খাঁচা সমস্যার কারণ হয়েছে বিপ্লব উদ্যানে

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম: বিপ্লব উদ্যানে বিনোদনের কিছুই নেই তবুও গভীর রাত পর্যন্ত সেখানে থাকে নানা বয়সী মানুষের ভিড়।

আপাতত এটা যেন অনেকটা পরিত্যক্ত। পূর্বপাশে খাবারের দোকানগুলো ছাড়া আর কিছুই নেই। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর সিটি প্রশাসক আলহাজ খোরশেদ আলম সুজনের নির্দেশে এটা উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে অতি সম্প্রতি। খুলে দিতেই সেখানে হুমড়ি খেয়ে পড়েছে সব বয়সের সব শ্রেণির মানুষেরা। কারণ ঐ অঞ্চলে বিনোদনের আর কোন খোলা জায়গা নেই। সারাদিন এমন কি গভীর রাতেও মুখর থাকে। তবে, সবচেয়ে বড় সমস্যা তৈরি করেছে চারকোণে থাকা ৪টি লোহার খাচা। এগুলোর কারণে বিস্তীর্ণ জায়গা একেবারে অকেজো। মানুষ স্বাচ্ছন্দে চলাফেরা করতে পারছেন না। অবিলম্বে এগুলো অপসারণ প্রয়োজন বলে মনে করেন সেখানে আসা লোকজন।

এখানে রয়েছে ঝর্ণা। কখনও কখনও সেটা চালু করা হয়। সেটা বর্তমান মুহূর্তে অন্যতম আকর্ষণ।

সবুজে ভরা ছিল বিপ্লব উদ্যান। নতুন রূপ দেয়ার নামে ভিতরে থাকা বৃক্ষরাজি উপড়ে ফেলা হয়। আর মাটি ভরাটে আরও কিছু গাছ মরে গেছে। উত্তর-পূর্ব কোণে গাছপালা কেটে ফেলে সেখানে শৌচারগার নির্মাণ করা হয়েছে।

ফুটপাত দখল করে বসার ব্যবস্থা। তাতে পথচারিদের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয় গাড়ির রাস্তা দিয়ে।

ষোলশহর দু’নম্বর গেটসহ আশেপাশের এলাকার বিনোদনপ্রেমী মানুষের একমাত্র ভরসা এই উদ্যান ২০১৮ সালের শেষদিকে সিটি কর্পোরেশন বন্ধ করে দেয় নতুন আঙ্গিকে চালু করার ঘোষণায়। কর্পোরেশনের সহায়তায় জবরদখল করে নেয়া হয় বিপ্লব উদ্যানের তিন দিকের ফুটপাত ও পানি চলাচলের নালা। ফুটপাত ও নালার অস্তিত্ব বিলীন করে সেই জায়গা প্রকল্পের ভিতরে ঢুকিয়ে ফেলা হয়। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েন পথচারিরা। ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চলাচলের রাস্তা দিয়ে তাদেরকে চলাচল করতে হয়।

গত বছরের ১৫ ডিসেম্বরে পার্কটি উদ্বোধন করা হয়। এখানে  ফ্রি ওয়াই-ফাই, ইনফরমেশন ক্যাশ মেশিন, কিডস কর্ণার, এটিএম প্লাজা, ট্যুরিস্ট ইন ইত্যাদি হওয়ার কথা। সিটি কর্পোরেশনের সাথে চুক্তি অনুসারে সবকিছু সম্পন্ন হওয়ার কথা এক বছরের মধ্যে হলেও, কেবল দোকান ছাড়া অন্যসব কাজ অসমাপ্ত রাখা হয়। ফুডকোর্ট চালু এবং আরও ফুটকোর্ট তৈরির কাজগুলো বিদ্যুৎগতিতে হয়েছে।

পরিস্থিতিতে প্রচণ্ড সমালোচনার মুখে পড়ে কর্পোরেশন।

সিটি প্রশাসক খোরশেদ আলম  সুজন দায়িত্ব পাওয়ার পর  চলতি গত ১৫ আগস্ট বিপ্লব উদ্যানের সৌন্দর্যবর্ধন কার্যক্রম পরিদর্শন ও গণশুনানিতে নানা অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে তা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন এবং তদন্তের উদ্যোগ নিয়েছেন। জনসাধারণ আশা করছেন জবরখল করা ফুটপাত ও নালা ছেড়ে দেয়ার ব্যাপারে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিয়ে জনদুর্ভোগ কমাবেন।