দোনবাস পেরিয়ে শুক্রবার বেলারুশ সীমান্ত পেরিয়ে অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। লাগাতার চলছে গোলাগুলি। মাথার উপরে পাক খাচ্ছে রুশ বিমান। তবে রুশ বাহিনীকে তাঁরা অনেকটা রুখে দিতে পেরেছেন বলে দাবি করেছেন ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি জেলেনস্কি। তিনি জানিয়েছে, শুক্রবার ভোর চারটে থেকেই রাশিয়া ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে। তবে অধিকাংশ জায়গাতেই রুশ সেনাকে আটকে দিয়েছে ইউক্রেন সেনা।
বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, কিয়েভের চৌকাঠে পৌঁছে গিয়েছে রুশ বাহিনী।
তাহলে কি আত্মসমর্পণের পথে ইউক্রেন? শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কিয়েভের খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছে রুশ সেনা । এরই মধ্যে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে ইউক্রেন সেনার আত্মসমর্পণের ছবি। যা নিয়ে গুঞ্জন ছড়িয়েছে। সেই ভিডিওর সত্যতা নিয়ে সংশয় থাকলেও পরিস্থিতি যেদিকে এগোচ্ছে, তাতে প্রশ্ন উঠছে, আত্মসমর্পণ ছাড়া কি আর উপায় রয়েছে ইউক্রেনের? যদিও ইউক্রেনের দাবি, বড়সড় প্রতিরোধ গড়তে পেরেছে তারা।
বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই ইউক্রেনে ঝাঁপিয়ে পড়ে রাশিয়ান ফৌজ। দিনভর নানা জায়গায় হামলা চালিয়ে সন্ধের দিকে রাজধানী কিয়েভের দিকে এগোতে থাকে তারা। কিয়েভ, খারকভের বিমানঘাঁটি দখল করে সেসব তছনছ করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তাদের বিরুদ্ধে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানিয়েছেন, প্রথম দিনে যুদ্ধে ১৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। গোটা বিশ্বই সন্ত্রস্ত হয়ে তাকিয়ে রয়েছে ইউক্রেনের দিকে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত অবস্থা শোধরানোর মতো সম্ভাবনা তৈরি হয়নি।
দোনবাস পেরিয়ে শুক্রবার বেলারুশ সীমান্ত পেরিয়ে অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। লাগাতার চলছে গোলাগুলি। মাথার উপরে পাক খাচ্ছে রুশ বিমান। তবে রুশ বাহিনীকে তাঁরা অনেকটা রুখে দিতে পেরেছেন বলে দাবি করেছেন ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি জেলেনস্কি। তিনি জানিয়েছে, শুক্রবার ভোর চারটে থেকেই রাশিয়া ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে। তবে অধিকাংশ জায়গাতেই রুশ সেনাকে আটকে দিয়েছে ইউক্রেন সেনা।
এখনও পর্যন্ত সব মিলিয়ে ইউক্রেনে ১৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে রাশিয়ার হামলায়। তাঁদের মধ্যে ১০ জন সেনা আধিকারিক রয়েছেন। এছাড়াও আহত হয়েছেন ৩১৬ জন। এদিকে বাইডেন জানিয়েছেন, যদি পুতিন ইউক্রেনের পরে কোনও ন্যাটো গোষ্ঠীভুক্ত দেশে ঢুকে পড়ে তাহলে তাঁদের জবাব দেবে ওয়াশিংটন। ক্রমশই ঘোরাল হচ্ছে পরিস্থিতি।
ইউক্রেন সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, একটি আবাসিক বিল্ডিংকে লক্ষ্য করে মিসাইল নিক্ষেপ করেছে রুশ সেনা। জেলনস্কি ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সি ব্যক্তিরা এই সময় দেশ ছেড়ে যেতে পারবেন না। প্রয়োজনের তাঁদের যুদ্ধের জন্য ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এত অশান্ত পরিস্থিতি বিশ্বে আর তৈরি হয়নি বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। পরিস্থিতি ঠাণ্ডা করতে তৎপর ভারতও।