Home কক্সবাজার সেন্টমার্টিনে জীববৈচিত্র্য রক্ষায় কুকুর বন্ধ্যাকরণ কর্মসূচি

সেন্টমার্টিনে জীববৈচিত্র্য রক্ষায় কুকুর বন্ধ্যাকরণ কর্মসূচি

ছবি সংগৃহীত

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, কক্সবাজার: সেন্ট মার্টিন দ্বীপের জীববৈচিত্র্য ও বিপন্ন কাছিম রক্ষায় আবারও শুরু হচ্ছে বেওয়ারিশ বন্ধ্যাকরণ কর্মসূচি। এ পর্যায়ে ৩ হাজার কুকুরকে বন্ধ্যাকরণ করা হবে। পরিবেশ অধিদপ্তর এই কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। তা বাস্তবায়ন করছে বেসরকারি সংস্থা-‘অভয়ারণ্য’।

সেন্টমার্টিন দ্বীপে ৭ হাজারের বেশি কুকুর বিচরণ করছে। ছোট দ্বীপটির লোকসংখ্যা অনুপাতে খুবই বেশি। মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন বলে কুকুরগুলো অন্য এলাকায় যেতে পারে না। অত্যধিক কুকুরের কারণে সৈকতে মা কাছিম ডিম পাড়তে আসে না। কোনো কাছিম এলেও অনেক সময় কুকুরের খাবারে পরিণত হয়। আবার আক্রমণের ভয়ে অনেক সময় স্থানীয় ও পর্যটকরা কুকুরের প্রতি নির্দয় আচরণ করে। ইতিপূর্বে একটি বেসরকারি সংস্থা দ্বীপে কুকুরের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বন্ধ্যাকরণ কর্মসূচি নিয়েছিল।

দেশের অন্য এলাকার কুকুরের চেয়ে সেন্টমার্টিনের কুকুর আলাদা। এখানকার কুকুরগুলোর স্বাভাবিক প্রজনন হার অনেক বেশি এবং ছানার মৃত্যুহারও কম। তাই অনিয়ন্ত্রিত কুকুর বৃদ্ধিতে দ্বীপের সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য, স্বাভাবিক বাস্তুসংস্থানের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার পক্ষে ক্রমশ বড় হুমকি হয়ে উঠছে। এসব প্রেক্ষাপটে এবারে পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে কৃকুর বন্ধ্যাকরণ কর্মসূচি।

পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজারের উপপরিচালক মো. জমির উদ্দিন জানান, ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত প্রথম ধাপে এক হাজার কুকুরকে বন্ধ্যাকরণের আওতায় আনা হবে। বন্ধ্যাকরণ কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহযোগিতা দিচ্ছে আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘ওয়ার্ল্ডওয়াইড ভেটেরিনারি সার্ভিস (ডব্লিউভিএস)।’ কুকুর বন্ধ্যাকরণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে বেসরকারি সংস্থা-‘অভয়ারণ্য’।  ২০১২ সাল থেকে তারা রাজধানীতে কুকুর বন্ধ্যাকরণের কাজে যুক্ত রয়েছে অভয়ারণ্য।

অভয়ারণ্যের চেয়ারম্যান রুবাইয়া আহমদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা প্রথম ধাপে এক হাজার কুকুরকে বন্ধ্যাকরণ করব। এরপর আরও কয়েক ধাপে ২ হাজার কুকুরকে বন্ধ্যাকরণ করা হবে। এর সঙ্গে কুকুর লালন–পালন, সরকারি আইন এবং বন্ধ্যাকরণ বিষয়ে স্থানীয় লোকজনকে সচেতন করা হবে।’