Home পর্যটন কুতুব মিনার ভ্রমণ

কুতুব মিনার ভ্রমণ

কুতুব মিনার দিল্লীর পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণীয় ভ্রমণের স্থান। দিল্লী ঘুরতে এলে কুতুব মিনার সেই ভ্রমণ তালিকার একেবারে ওপরে থাকে। ভারতের প্রথম মুসলমান শাসক কুতুবুদ্দিন আইবকের নির্দেশে কুতুব মিনারের নির্মাণকাজ শুরু হলেও তিনি তা সম্পূর্ণ করতে পারেননি। পরবর্তীকালে ফিরোজ শাহ তুঘলক স্তম্ভের উপরের তলাগুলোর কাজ সম্পূর্ণ করেন। ১৯৯৩ সালে ইউনেস্কো এটিকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের তালিকাভুক্ত করেছে।

দক্ষিণ দিল্লীতে অবস্থিত কুতুব মিনার ইন্দিরা গান্ধী ইন্টারন্যাশানাল এয়ারপোর্ট থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত।দিল্লীর প্রথম মুসলিম শাসক কুতুব-উদ্দিন আইবক ১১৯২ সালে তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধে রাজা পৃথ্বীরাজ চৌহানকে পরাজিত করেন এবং দিল্লীতে মুসলিম সাম্রাজ্যের সূচনা করেন। যুদ্ধ জয়ের পর ১১৯৩ সালে তিনি কুতুব মিনার নির্মাণের কাজ শুরু করেন। কিছু ঐতিহাসিকের মতে ভারতে মুসলিম শাসনের সূচনাকে উৎযাপন করতে বিজয়স্তম্ভ স্বরূপ তিনি এই স্তম্ভ বানিয়েছিলেন। কুতুব-উদ্দিন আইবকের নামানুসারে এই স্তম্ভের নাম রাখা হয় কুতুব মিনার। অন্যমতে বলা হয় সুলতান কুতুব-উদ্দিন আইবক, দিল্লীতে প্রথম মসজিদ স্থাপন করেন, যার নাম কুওয়াতুল ইসলাম। মসজিদের সংলগ্ন স্তম্ভটি হল কুতুব মিনার। বলা হয় সুফি সাধক হজরত কুতুব উদ্দিন বখতিয়ার কাকী-এর নামে এই মিনারের নাম হয় কুতুব মিনার।

নির্মাণের নামকরণের ইতিহাস নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতবিরোধ থাকলেও এই নিয়ে কোনও সংশয় নেই যে এই মিনার ভারতীয়-মুসলিম স্থাপত্যশৈলীর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাচীন নিদর্শন। আবার এই মজসিদ বা স্তম্ভ নির্মাণের সাথে ধ্বংসের ইতিহাসও জড়িয়ে আছে। কুতুব-উদ্দিন আইবক কুওয়াতুল ইসলাম নির্মাণের জন্য ২৭টি হিন্দু এবং জৈন মন্দির ধ্বংস করেন এবং মন্দিরের ধ্বংস করা মিনার মসজিদ নির্মাণে ব্যবহার করেন। ১১৯২ সাল থেকে ১২১০ সালের মধ্যে কুতুব-উদ্দিন শুধুমাত্র একতলা নির্মাণ করতে পেরেছিলেন এবং পরবর্তীকালে ইলতুৎমিশ ১২১১ সাল থেকে ১২৩৬ সালের মধ্যে আরও তিনটে তলা নির্মাণ করেন। ফিরোজ শাহ এর শাসনকালে স্তম্ভের চারতলা বজ্রপাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ১৩৫১ থেকে ১৩৮৮ সালের মধ্যে ফিরোজ শাহ সেটির সংস্কার করেন এবং পঞ্চম তলা নির্মাণ করেন। ১৫০৩ সালে সিকন্দর লোদি এই স্তম্ভের আরও কিছু সংস্কার করেন।

কুতুব মিনারকে ঘিরে প্রায় ১০০ একর জমির ওপর নির্মিত কমপ্লেক্সটিকে বলা হয় কুতুব কমপ্লেক্স। কুতুব কমপ্লেক্সের ভিতর কুতুব মিনার ছাড়াও রয়েছে কুওয়াতুল ইসলাম মসজিদ, আলাই মিনার, আলাই দরজা, প্রাচীন লৌহস্তম্ভ, সুলতান ইলতুৎমিশের সমাধি, সুলতান গিয়াস উদ্দীন বলবনের সমাধি, সুলতান আলাউদ্দিন খলজীর সমাধি, ইমাম জামিনের সমাধি ইত্যাদি স্থাপত্য। বর্তমানে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া কুতুব কমপ্লেক্সের মধ্যে অবস্থিত এইসব ঐতিহাসিক স্থাপত্যগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ করে। ১৯৯৩ সালে ইউনেস্কো কুতুব কমপ্লেক্সকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের তালিকাভুক্ত করেছে।

কুতুব মিনার তথা কুতুব কমপ্লেক্স দিল্লীর পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণীয় ভ্রমণের স্থান। যাঁরা দিল্লীতে থাকে তাঁরা মাঝে মাঝেই সপ্তাহের শেষে এখানে ঘুরতে চলে আসেন। আর বাইরে থেকে যাঁরা দিল্লী ঘুরতে আসেন, তাঁদের ভ্রমণ তালিকার একেবারে ওপরে থাকে কুতুব মিনার। ২০১৮ সাল অবধি এটি ভারতের দ্বিতীয় সর্বাধিক ঘুরতে যাওয়া স্মৃতিস্তম্ভ ছিল। প্রথম স্থানে ছিল তাজমহল। নভেম্বর বা ডিসেম্বর মাসে কুতুব কমপ্লেক্সের ভেতর পালিত হয় কুতুব উৎসব। একাধিক দিন ধরে চলতে থাকা এই উৎসবে দেশ বিদেশ থেকে মানুষ যোগ দেয়।

দিল্লীর ইন্দিরা গান্ধী ইন্টারন্যাশানাল এয়ারপোর্ট থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত কুতুব মিনার। এয়ারপোর্ট থেকে গাড়ি নিয়ে এখানে আসতে পারেন। দিল্লীতে থেকে একদিনের ট্যুরে এখানে আসতে চাইলে গাড়ি ভাড়া করে আসতে পারেন। গাড়ি ভাড়া করতে হলে দিল্লী ট্যুরিজম সাইটের পাশাপাশি বিভিন্ন আঞ্চলিক ট্যুরিজম কোম্পানি আছে যারা আপনাকে অপেক্ষাকৃত কম দামে ঘোরাবে। কিন্তু আগে তাদের ভালভাবে যাচাই করে নিয়ে তবেই তাদের সাথে যাবেন। পাশাপাশি এটা মাথায় রাখবেন দিল্লী ট্যুরিজম বা আঞ্চলিক ট্যুরিজম, যার থেকেই গাড়ি নেবেন, একদিনের এই ট্রিপে দিল্লীর কোন কোন জায়গা ঘোরাবে তা আগে থেকে জেনে নেবেন। তবে সবচেয়ে সস্তা হবে কুতুব মিনার মেট্রো স্টেশনে এসে ই-রিক্সা বা অটো করে এখানে আসা। স্টেশন থেকে কুতুব মিনারের দুরত্ব মাত্র আড়াই কিলোমিটার।

থাকবার জন্য কুতুব মিনারের আশেপাশে প্রচুর হোটেল আছে। দিল্লী এয়ারপোর্টের কাছেও রয়েছে বেশ কিছু হোটেল। ২০২২ সালের তথ্য অনুযায়ী হোটেলের ভাড়া ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ২০০০০ টাকা অবধি রয়েছে।

কুতুব কমপ্লেক্সের বিভিন্ন দ্রষ্টব্যগুলো বিস্তারিত দেওয়া হল।

কুতুব মিনার – কুতুব কমপ্লেক্সের প্রধান আকর্ষণ, কুতুব মিনারের উচ্চতা ২৩৮ ফুট। এই স্তম্ভের পাদদেশের ব্যাস ৪৬ ফুট এবং শীৰ্ষ অংশের ব্যাস ৯ ফুট। স্তম্ভের গায়ে আরবি ভাষায় লিখিত বিভিন্ন লিপি খোদাই করা আছে। নিচে থেকে এই খোদাই করা লিপিগুলো দেখতে অসাধারণ লাগে। স্তম্ভের পাঁচটি তলা রয়েছে। প্রথম তিনতলা লাল বেলেপাথর দিয়ে তৈরি। চতুর্থ ও পঞ্চম তলা মার্বেল ও বেলে পাথরের সংমিশ্রণে তৈরি। প্রতি তলায় একটি করে ঝুলন্ত বারান্দা রয়েছে। স্তম্ভের শীর্ষে পৌঁছনোর জন্য এর ভেতরে মোট ৩৭৯টি সিঁড়ি রয়েছে। ১৯৫০ সাল থেকেই ওপরের তলাগুলো জনসাধারনের জন্য বন্ধ আছে। তবে আশির দশক অবধি স্তম্ভের প্রথম তলার বারান্দা অবধি সাধারণ মানুষ যেতে পারত। কিন্তু ১৯৮১ সালের ৪ ডিসম্বরের ভয়ঙ্কর এক দুর্ঘটনার পর থেকে কুতুব মিনারের ভেতরে জনসাধারনের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিছু প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী সেইদিন কুতুব মিনারের ভেতরে কিছুক্ষণের জন্য বিদ্যুৎ চলে যায় এবং একটি মেয়ে অন্ধকারে পা পিছলে পড়ে যাওয়ার সময় কিছু ছেলে ভয়েতে “কুতুব মিনার ভেঙে পড়ছে, পালাও” বলে চেঁচাতে থাকে। এর ফলে সকলে হুড়মুড় করে নিচে নামবার চেষ্টা করলে দুর্ঘটনা ঘটে। আবার অন্য কিছু প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী কিছু অসভ্য ছেলে অন্ধকারে দুজন বিদেশি মহিলা পর্যটকের শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা করলে তাঁরা দৌড়ে নিচে পালাবার চেষ্টা করেন। এর ফলে ধাক্কাধাক্কিতে আচমকাই ওপর থেকে নিচের দিকে থাকা মানুষজন ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন এবং দুর্ঘটনা ঘটে। তবে কারণ যাই হোক না কেন, এই দুর্ঘটনায় পদপৃষ্ঠ হয়ে ৪৫ জনের মৃত্যু ঘটে এবং ২১ জন মারাত্মকভাবে জখম হন।

কুওয়াত-উল-ইসলাম মসজিদ – কুতুব মিনারের পাদদেশে কিছুটা দূরে রয়েছে কুওয়াত-উল-ইসলাম মসজিদ। এটি দিল্লী তথা উত্তর ভারতে নির্মিত প্রথম মসজিদ। ভারতে মুসলিম শাসনের সূচনাকে চিহ্নিত করতে কুতুব উদ্দিন আইবক ২৭টি হিন্দু এবং জৈন মন্দির ধ্বংস করেন এবং তাঁদের ধ্বংসাবশেষ দিয়েই নির্মাণ করেন এই মসজিদ। যে কারণে এই মসজিদের পিলারে হিন্দু মন্দিরের নকশা পাওয়া যায়। পুরনো বেশ কিছু হিন্দু দেবদেবীদের মূর্তি এখানে রাখা আছে। কুতুব উদ্দিন আইবকের মৃত্যুর পর সুলতান ইলতুৎমিশ মসজিদের পরিধি আরও বিস্তৃত করেন।

প্রাচীন লৌহস্তম্ভ – কুতুব কমপ্লেক্সের মধ্যে রাখা প্রাচীন একটি লৌহস্তম্ভ একটি আশ্চর্য নিদর্শন। এই লৌহস্তম্ভটি ষষ্ঠ শতকে নির্মিত হলেও আজ অবধি এতে এতটুকু মরচে ধরেনি।

আলাই দরজা – ১২৯৬ থেকে ১৩১১ সালের মধ্যে আলাউদ্দিন খিলজির শাসনকালে তিনি নিজের শক্তি প্রদর্শনের জন্য কুতুব মিনারের দক্ষিণে একটি বিশাল প্রবেশদ্বার স্থাপন করেন। এটি আলাই দরজা নামে পরিচিত।

আলাই মিনার – আলাউদ্দিন খিলজি কুতুব মিনারের মতোই দ্বিতীয় আরও একটি স্তম্ভ নির্মাণ করতে চেয়েছিলেন। তাঁর ইচ্ছা ছিল নতুন এই স্তম্ভটি কুতুব মিনারের দ্বিগুণ উঁচু হবে। কিন্তু তিনি সেটির নির্মাণ সম্পূর্ণ করে যেতে পারেননি এবং তাঁর মৃত্যুর সময় অসম্পূর্ণ স্তম্ভটির উচ্চতা ছিল মাত্র ২৫ মিটার। তাঁর এই উচ্চাভিলাষী প্রকল্প পরবর্তীকালেও কোনও সুলতান চালিয়ে যেতে রাজি হননি। অসম্পূর্ণ এই স্তম্ভটির নাম আলাই মিনার এবং এটি কুতুব মিনার এবং মসজিদের উত্তরদিকে রয়েছে।

এছাড়াও এখানে বেশ কিছু সমাধি রয়েছে। যেমন সুলতান ইলতুৎমিশের সমাধি, সুলতান গিয়াসউদ্দীন বলবনের সমাধি, সুলতান আলাউদ্দিন খলজীর সমাধি, ইমাম জামিনের সমাধি ইত্যাদি। সারাদিন ধরে এখানে বিভিন্ন স্থাপত্যগুলো পর্যবেক্ষণ করতে পারেন। কুতুব কমপ্লেক্সে প্রবেশের জন্য টিকিট রয়েছে। ২০২২ সালের তথ্য অনুযায়ী ভারতীয়দের জন্য টিকিটের মূল্য মাত্র ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। এখানে পৌঁছেও টিকিট কাটতে পারেন বা অনলাইনে কেটে নিতে পারেন। সবচেয়ে বেশি সুবিধা হল এই জায়গায় যেদিন ঘোরার প্ল্যান করছেন, আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া সাইট থেকে আগেভাগেই সেইদিনের টিকিট কেটে রাখুন। এর ফলে আপনাকে এখানে পৌঁছে ভিড়ে লাইনে দাঁড়াতে হবে না এবং আপনার টিকিট হারানোর ভয়ও থাকবে না। কারণ ভেতরে গিয়ে টিকিট হারিয়ে গেলে বেরনোর সময় ১০০ টাকা জরিমানা। একমাত্র আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া সাইটের থেকেই টিকিট কাটবেন। অন্য কোনও সাইট থেকে কাটবেন না। সাইটের থেকে টিকিট কাটার সময় ভিজিট টাইম ভালো করে দেখবেন। আপনার টিকিটের বৈধতা কিন্তু এই টাইমের ওপর নির্ভর করছে। আপনি যে সময়ে যেতে চাইছেন সেই সময়ের টিকিট নিচ্ছেন কিনা দেখে নেবেন।তবে কোনও স্থানে নিজের নাম, ফোন নাম্বার ইত্যাদি লিখে জায়গাটি কলুষিত করবেন না। ভেতরে খাবার নিয়ে প্রবেশ করবেন না।

সারা বছর ধরেই এখানে আসা যায়। তবে গরমকালে দিল্লীতে প্রচণ্ড গরম থাকে। অক্টোবর থেকে মার্চ মাসের সময় পরিবেশ আরামদায়ক থাকে। সেই সময়ে আসতে আরেন। তাছাড়া কুতুব উৎসবে যোগ দিতে চাইলে আগে থেকে খোঁজ নেবেন নভেম্বর বা ডিসেম্বরের কোন সময়ে উৎসবটি হচ্ছে। সেই অনুযায়ী আপনার ট্যুর প্ল্যান করতে পারেন।


ট্রিপ টিপস

  • কীভাবে যাবেন – এয়ারপোর্ট থেকে গাড়ি নিয়ে এখানে আসতে পারেন। দিল্লীতে থেকে একদিনের ট্যুরে এখানে আসতে চাইলে গাড়ি ভাড়া করে আসতে পারেন। তবে সবচেয়ে সস্তা হবে কুতুব মিনার মেট্রো স্টেশনে এসে ই-রিক্সা বা অটো করে এখানে আসা।
  • কোথায় থাকবেন – কুতুব মিনারের আশেপাশে বা দিল্লী এয়ারপোর্টের কাছে রয়েছে বেশ কিছু হোটেল।
  • কি দেখবেন – কুতুব মিনার, কুওয়াতুল ইসলাম মসজিদ, আলাই মিনার, আলাই দরজা, প্রাচীন লৌহস্তম্ভ, সুলতান ইলতুৎমিশের সমাধি, সুলতান গিয়াস উদ্দীন বলবনের সমাধি, সুলতান আলাউদ্দিন খলজীর সমাধি, ইমাম জামিনের সমাধি ইত্যাদি।
  • কখন যাবেন – সারা বছর ধরেই এখানে আসা যায়। তবে অক্টোবর থেকে মার্চ মাসের সময় পরিবেশ আরামদায়ক।
  • সতর্কতা
    • ভেতরে গিয়ে টিকিট হারিয়ে গেলে বেরনোর সময় ১০০ টাকা জরিমানা। তাই টিকিট সাবধানে রাখবেন।
    • একমাত্র আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া সাইটের থেকেই টিকিট কাটবেন। অন্য কোনও সাইট থেকে কাটবেন না।
    • আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া সাইটের থেকে অনলাইনে টিকিট কাটার সময় ভিজিট টাইম ভালো করে দেখবেন। আপনি যে সময়ে যেতে চাইছেন সেই সময়ের টিকিট নিচ্ছেন কিনা দেখে নেবেন।
    • কোনও স্থানে নিজের নাম, ফোন নাম্বার ইত্যাদি লিখে জায়গাটি কলুষিত করবেন না।
    • প্রবেশের পর থেকে মাত্র তিন ঘণ্টা টিকিটের বৈধতা।
    • একটি সরকারী পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখবেন।
    • খাবার নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করবেন না।
    • দিল্লী থেকে গাড়ি ভাড়া করে গেলে বেশ কিছু ট্যুর কোম্পানি একদিনের প্যাকেজ দেয়। তাদের প্যাকেজে তারা কোন কোন জায়গা নিয়ে যাবে, প্যাকেজে কত কিমি এবং কত ঘণ্টার ট্যুর রয়েছে, জায়গার পার্কিংএর দাম ধরা আছে কিনা সেগুলো জেনে নেবেন।
  • বিশেষ পরামর্শ
    • এই জায়গায় যেদিন ঘোরার প্ল্যান করছেন, আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া সাইটের থেকে আগেভাগেই সেইদিনের টিকিট কেটে রাখুন। এর ফলে আপনাকে এখানে পৌঁছে ভিড়ে লাইনে দাঁড়াতে হবে না এবং আপনার টিকিট হারানোর ভয়ও থাকবে না।
    • দিল্লী থেকে একদিনের ট্যুরে এখানে আসতে চাইলে গাড়ি ভাড়া করতে দিল্লী ট্যুরিজম সাইটের পাশাপাশি বিভিন্ন আঞ্চলিক ট্যুরিজম কোম্পানি আছে যারা আপনাকে অপেক্ষাকৃত কম দামে ঘোরাবে। কিন্তু আগে টাকা চাইলে তাদের ভালভাবে যাচাই করে নিন। তবে সবচেয়ে সস্তা হবে মেট্রোতে এসে ই-রিক্সা বা অটো করে এখানে আসা।