Home আইন-আদালত কুয়াকাটায় অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

কুয়াকাটায় অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ


কুয়াকাটা: কুয়াকাটায় বেড়িবাঁধের বাইরে অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।

বৃহস্পতিবার দুপুরে কলাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জগতবন্ধু মন্ডল এ উচ্ছেদ অভিযান চালান। এ সময় কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার, কাউন্সিলর শহিদ দেওয়ান, আবুল হোসেন ফরাজী, মনির শরীফ ও মহিপুর ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মোঃ আজিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

উচ্ছেদ অভিযানের সময় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। উচ্ছেদ না করার  জন্য অনুরোধ করেন পৌর মেয়র ও কাউন্সিলররা। তোপের মুখে পড়েন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এনিয়ে কাউন্সিলর, পৌর মেয়রের সাথে বাকবিতন্ডা হয় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের। উচ্ছেদের প্রতিবাদে শুক্রবার  ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা মানববন্ধন ও  বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন। তাদের অভিযোগ ঘুর্নিঝড় ইয়াসে সমুদ্র সৈকতের শতাধিক শুঁটকী ও ঝিনুক ব্যবসায়ী দোকান  সরিয়ে নিয়ে সী কুইন হোটেলের পুর্ব
পাশের মাঠে নিয়ে রাখেন। এসব দোকানের বেশিরভাগই ঢেউয়ের তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দোকানগুলো মেরামত করে তারা অন্যত্র সরিয়ে নেবেন। মেরামতকালে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ভাংচুর ও উচ্ছেদ করা হয়। ব্যবসায়ীরা আরো বলেন, মঞ্জুরুল আলম নামে এক ব্যাক্তি এই জায়গার মালিকানা দাবী করে ভোগদখল করে আসছিলেন। তার অনুমতি নিয়েই তারা এখানে ঘর এনে
রেখেছেন।

মহিপুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মোঃ আজিজুর রহমান জানান, সরকারি জমিতে প্রভাবশালী একটি গ্রুপ ব্যাক্তিগত মার্কেট তেরির উদ্যোগ নিলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তা ভেঙ্গে দেয়া হয়। তিনি আরও জানান, বেড়িবাঁধের বাইরে কোন স্থাপনা নির্মাণ করা সরকারিভাবে নিষিদ্ধ। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এসব ঘর নির্মাণ করা হচ্ছিলো।
কুয়াকাটা পৌর মেয়র বলেন, সৈকতের   ব্যবসায়ীরা তাদের ভাঙ্গা দোকান মেরামত করছিল। মেরামত শেষে কিছুদিন পর এসব দোকান অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হতো। অনুরোধ করার পরও এসব ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।  এবিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জগতবন্ধু মন্ডল বলেন, যে জমিতে ঘর তোলা হয়েছিল ওই জমি সরকারি। সরকারের নামে বিএস জরিপ রয়েছে। তাই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এখানে কারও অনুরোধ রাখার সূযোগ নেই।