বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
খুলনা: খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট)৪৪ শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেয়া হয়েছে। লালনশাহ হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. মো. সেলিম হোসেনের (৩৮) মৃত্যুর ঘটনায় তাদেরকে বৃহস্পতিবার এই নোটিস দেয়া হয়েছে।
কুয়েট প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, আগামী সোমবারের মধ্যে কারণ দর্শানো নোটিসের জবাব দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
প্রফেসর সেলিম হোসেনের মৃত্যুর পর উত্তপ্ত হয়ে উঠে কুয়েট ক্যাম্পাস। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে গত ৩ ডিসেম্বর কুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজানসহ ৯ জন ছাত্রকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। জরুরি সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক এই ব্যবস্থা নেয়া হয়।
প্রফেসর সেলিম হোসেনের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে গঠিত ৫ সদস্যের কমিটি গত মঙ্গলবার প্রশাসনের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়নি। কমিটি ৬৫ জন শিক্ষার্থী, ৪০ জন শিক্ষকসহ প্রায় ১৪০ জনের সঙ্গে কথা বলেছে। অধ্যাপক সেলিম মারা যাওয়ার দিনের ঘটনা ও সিসিটিভি ফুটেজও বিশ্লেষণ করেছে কমিটি।
বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, অধ্যাপক মো. সেলিমের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা যে শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন, তার প্রমাণ পাওয়া গেছে। ৪৪ জন শিক্ষার্থীর ভূমিকা ওই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে। ড. সেলিমকে যে মানসিক নিপীড়ন করা হয়েছিল, তা উল্লেখ করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি শাস্তির কোনো সুপারিশ করেনি।
কুয়েট ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সদস্যসচিব ও ছাত্রকল্যাণ পরিষদের পরিচালক অধ্যাপক ইসমাঈল সাইফুল্যাহ বলেন, ঘটনায় যাদের নাম এসেছে, আমরা তাদের শোকজ করা হয়েছে। উত্তর দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া হচ্ছে। উত্তরগুলো পাওয়ার পরই শৃঙ্খলা কমিটির সভা হবে। সেখানে বিষয়গুলো উত্থাপন করা হবে।