Home আন্তর্জাতিক কেবল সম্মিলিত প্রয়াসে সম্ভব ওমিক্রনকে রোখা

কেবল সম্মিলিত প্রয়াসে সম্ভব ওমিক্রনকে রোখা

dr soumya swaminathan

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক

বিশ্বজুড়ে তাণ্ডব করছে ওমিক্রন। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। কোভিডের ডেল্টা প্রজাতির চোখ রাঙানির মাঝেই ওমিক্রনের নতুন ঢেউ উদ্বেগ কয়েকগুণ বাড়িয়ে তুলেছে বিশ্বের বিজ্ঞানীমহলকে। এই ঢেউ থামানো যাবে কী করে সেটাই এখন চ্যালেঞ্জ। ওমিক্রন ভ্যারিয়ান্টকে ইতিমধ্যেই ‘উদ্বেগজনক’ তকমা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। শীর্ষ বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন বলেছেন, কোভিডের এই অতি সংক্রামক প্রজাতিকে রোখার উপায় আছে। বিশ্বের সব দেশ সম্মিলিতভাবে প্রয়াস করলে নতুন মহামারীর এই ঢেউ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

ভ্যাকসিনই এখন একমাত্র উপায় যা দিয়ে ওমিক্রনকে থামানো যেতে পারে, এমনটাই মত হু-র শীর্ষ বিজ্ঞানী ড. সৌম্য স্বামীনাথনের। তিনি বলেছেন, বিশ্বের সব দেশেই কোভিডের একাধিক ভ্যাকসিন রয়েছে। একটিতে কাজ না হলে অন্যটি কার্যকরী হবে। বিভিন্ন ফর্মুলায় সেরা ভ্যাকসিনগুলিই তৈরি করা হয়েছে। কাজেই চিন্তার কারণ নেই। টিকাকরণের প্রক্রিয়া যত দ্রুত হবে, ততই করোনার এই প্রজাতিকে তাড়াতাড়ি দমন করা সম্ভব হবে। একটি দেশের অধিকাংশ নাগরিকই যদি টিকার দুটি করে ডোজ পেয়ে যান, তাহলেই হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হবে। সংক্রমণের গতি কমবে।

বিজ্ঞানী বলছেন, ভাইরাসে ক্রমাগত রূপ বদল হয়ে চলেছে। ওমিক্রন ভ্যারিয়ান্টে এখনই ৫০ রকম মিউটেশন হয়েছে। যার মধ্যে স্পাইক প্রোটিনেই (s) ৩০ বার অ্যামাইনো অ্যাসিডের কোড বদলে গেছে। সংক্রমণের হারও বাড়ছে। আগামীদিনে এই প্রজাতিই ফের তার চরিত্র বদলে অন্য কোনও চেহারা নিতে পারে। ব্রিটেনে এখনই কোভিড আক্রান্ত ৭৮ হাজারের বেশি। দক্ষিণ আফ্রিকা, আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্যে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ভারতে রাজস্থানে ওমিক্রন পজিটিভ ১৭ জন, কর্নাটকে ৩ জন, গুজরাতে ৪, তেলঙ্গানায় ২, অন্ধ্রে ১, পশ্চিমবঙ্গেও একজনের শরীরে ওমিক্রন ভ্যারিয়ান্টের হদিশ মিলেছে।

ওমিক্রন কতটা প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে সে বিষয়ে এখনই নিশ্চিত করে কিছু জানা যায়নি। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ওমিক্রনের সংক্রমণে খুব জটিল রোগ হতে এখনও দেখা যায়নি। এটি ফের অতি মহামারী প্যানডেমিক তৈরি করবে নাকি এন্ডেমিকের পথে যাবে সেটা সময়ই বলবে, তবে এই প্রজাতি যেহেতু খুব দ্রুত মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে তাই উদ্বেগের যথেষ্ট কারণ রয়েছে। আরও একটা বৈশিষ্ট্য রয়েছে ওমিক্রনের। এটি অ্যান্টিবডির ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে। অ্যান্টিবডি ভাইরাল স্ট্রেনের সঙ্গে জুড়ে গিয়ে সেটিকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়, কিন্তু ওমিক্রনের এমন ক্ষমতা আছে যা অ্যান্টিবডির গুণই নষ্ট করে দিতে পারে।