গত কয়েক বছর ধরে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে গরু আসা বন্ধ থাকায় মৌলভীবাজার জেলায় দিনদিন বিকাশ ঘটছে ডেইরি খামার। জেলার ৭ টি উপজেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে রয়েছে প্রায় আড়াই হাজারের মতো খামার। এসব খামারে সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণ করে আসন্ন কোরবানির ঈদের জন্য প্রস্তুত করছেন খামারিরা। করোনাকালেও সঠিক বাজারমূল্য প্রাপ্তির আশায় বুক বেঁধে গবাদিপশুর যত্ন-আত্তি করছেন এলাকার খামারিরা।
স্থানীয় প্রাণিসম্পদ বিভাগের তথ্যমতে এবার মৌলভীবাজারে স্থানীয় খামারিদের কাছ থেকে সংগৃহীত হবে কমপক্ষে ৬৫ হাজারের মতো গবাদি পশু। নিরাপদ প্রাণিজ আমিষ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে খামারি পর্যায়ে পরিদর্শন করে নিয়মিত পরামর্শ প্রদান করছে স্থানীয় প্রাণিসম্পদ বিভাগ।
মৌলভীবাজার জেলায় খামারীগন দীর্ঘদিন যাবৎ পশুপালন করে আসছেন। খামারীগন যাতে লাভবান হন সেই ব্যাপারে এগিয়ে এসেছে জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ। মৌলভীবাজারের ভারপ্রাপ্ত প্রানীসম্পদ কর্মকর্তা নিবাস চন্দ্র পাল বলেন, নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে গবাদিপশুর হৃষ্টপুষ্টকরণ পদ্ধতি নিয়ে প্রশিক্ষণ এবং পরামর্শ কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন তারা। এজন্য বিভিন্ন স্টেরয়েড, হরমোন কিংবা এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করে কৃত্রিম উপায়ে গবাদিপশুর হৃষ্টপুষ্টকরণ করতে না পারে এজন্য নিয়মিতভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে ।
খামারীগন বলেন, বিগত বছরের ন্যায় এবারো যদি ভারত থেকে গবাদিপশু আমদানি করা না হয় তাহলে লাভবান হবেন তারা এবং দেশের ভেতরে ডেইরি শিল্পের বিকাশ ঘটবে। তারা এব্যাপারে প্রানীসম্পদ বিভাগ এবং সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন। – এগ্রিলাইফ ২৪