বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
আমেরিকায় অল্পবয়সীদের মধ্যে বৃদ্ধি পেয়েছে কোলন ক্যান্সারের প্রকোপ । এদের মধ্যে তরুণীদের সংখ্যা বেশি।
আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, গত তিন দশক থেকেই ৫০ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে এই প্রবণতা লক্ষ্য করা গেলেও কেন কোলন ক্যান্সারের হার বেশি তার তেমন সুনির্দিষ্ট কারণ খুঁজে পাওয় যায়নি।
সোসাইটি প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী ১৯৯৫ সালে ৫৫ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে কোলরেকটাল ক্যান্সারে আক্রান্তের হার ১১ শতাংশ। ২৪ বছর পরে ২০১৯ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ শতাংশে। বছরের শুরুতে ক্যান্সার সোসাইটি পূর্বাভাস দিয়েছিল ২০২৩ সালে ৫০ বছরের কম বয়সী ৩,৭৫০ জন এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যাবে।
আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির সাইন্টিফিক ডিরেক্টর রেবেকা সিগেল বলেছেন, এই ক্যান্সার দেখা যায় কোলনের নিচের দিকে, রেকটামের কাছাকাছি।
লুইসভিলের কোলন ক্যান্সার প্রিভেনশন প্রজেক্টের গ্যাস্ট্রোএনটেরোলজিস্ট হুইটনি জোন্স বলেন, কোলন ক্যান্সারে আক্রান্তের হার বৃদ্ধি ‘নাটকীয়’ ঘটনা। সবচেয়ে ভীতির বিষয় হলো সহসাই এই ধারা পরিবর্তন হওয়ার কোনো আলামত দেখা যাচ্ছে না। আমরা নারীদের ব্রেস্ট ক্যান্সার বিষয়ে যেমন দেশজুড়ে ব্যাপক সচেতনমূলক ক্যাম্পেইন করেছি, এখন কোলন ক্যান্সার বিষয়েও তা করতে হবে।
তিনি বলেন, কোনো তরুণী যখন আমার কাছে বলে, তার তলপেটে প্রচন্ড ব্যথা হচ্ছে, অথবা মলের সাথে রক্ত যাচ্ছে, অথবা আকস্মিক ওজন কমছে, তখনও ডাক্তাররা মনে করেন না যে উক্ত তরুণী কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত।
ড. সিগেল বলেন, কোলরেকটাল ক্যান্সারের প্রাথমিক উপসর্গ হচ্ছে রেকটাল বি্লডিং (পায়ুপথে রক্ত নির্গত হওয়া)।
কোলন ক্যান্সার প্রিভেনশন প্রজেক্টে যে সাপোর্ট গ্রæপ কাজ করে তাদের অধিকাংশই ক্যান্সার থেকে বেঁচে ওঠা বা ক্যান্সার সাইভারভার। তারা বলেন, তরুণদের কোলন ক্যান্সার বেড়ে যাওয়ার মূল কারণ খাবার। আমরা প্রতিদিন যা খাচ্ছি, যা পান করছি সেখান থেকেই কোলন ক্যান্সারের শুরু।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আমেরিকানরা যেসব বা যে ধরনের খাদ্য ও পানীয় গ্রহণ করে প্রতিদিন, ইয়োরোপীয়রা তা করে না। বরং তারা ইয়োগা ম্যাটকেই বেশি গুরুত্ব দেয়।
তবে অনেক বিশেষজ্ঞ কেস হিস্ট্রি পর্যালোচনা করে বলেন, এটা অনেক ক্ষেত্রে জেনেটিক। ১৫ শতাংশই জেনেটিক ঝুঁকিতে।
কয়েকজন ডাক্তার বলেন, ব্যাড ডায়েট এবং ব্যায়াম না করাও কোলন ক্যান্সারের কারণ।
আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটি এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করে বলতে পারছে না তরুণ তরুণীর মধ্যে কোলন ক্যান্সারের প্রকোপ বাড়ার কারণ কী। তলপেটে ব্যথা হলেই কি কোলন ক্যান্সারের আশংকা করতে হবে?
বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা বলেন, তলপেটে ব্যথা মানেই কোলন ক্যান্সার নয়, তবে বিষয়টি চিন্তার কারণ অবশ্যই।