Home Third Lead কোস্টারিকা নাস্তানাবুদ !

কোস্টারিকা নাস্তানাবুদ !

স্পেন

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক

বড় ব্যবধানে জয় স্পেনের। ৭-০ গোলে পর্যুদস্ত কোস্টারিকা। প্রথমার্ধে ৩-০ গোলে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধে কোস্টারিকার জালে জড়াল আরও ৪ টি গোল। বড় ব্যবধানে জয় দিয়েই বিশ্বকাপে যাত্রা শুরু করল লুইস এনরিকের দল। স্পেনের আক্রমনাত্বক ফুটবলের কাছে মাথা তুলে দাড়াতেই পারল না কোস্টারিকা। কাতার বিশ্বকাপে (World Cup) আল থুমামা স্টেডিয়ামের সবুজ গালিচায় বিশ্ববাসী উপভোগ করল তারুন্যের জয়গান। মাঠে যথেষ্টই দক্ষতার নজির রাখল স্পেনের গাভি-পেদ্রিরা।

প্রথম ম্যাচে এনরিকে  দলকে খেলালেন আক্রমণাত্মক ৪-৩-৩ ফরমেশনে। অন্যদিকে স্পেনের মতো প্রতিপক্ষের বিপক্ষে অতি রক্ষণাত্মক ৫-৪-১ ফরমেশনে খেলতে মাঠে নামে কোস্টারিকা। এদিকে এর আগে পাঁচ বার ফিফা বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে কোস্টারিকা। কাতারে পা রাখার আগে উত্তর আমেরিকার এই দেশ স্পেনের চেয়েও ভালো প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। তাদের খেলা সর্বশেষ ৬টি ম্যাচের মধ্যে ৫টিতে জয় এবং একটিতে ড্র করে কোস্টারিকানদের আত্মবিশ্বাস ছিল তুঙ্গে।  সেই আত্মবিশ্বাসকে ধুলিস্যাত করে দিল লুইস এনরিকের দল।

বড় জয় দিয়ে যাত্রা শুরু করল ২০১০ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন স্পেন। গ্রুপ-ই’তে নিজেদের প্রথম ম্যাচে কোস্টারিকার বিপক্ষে মাঠে নামে কোচ লুইস এনরিকের বাহিনী। আল থুমামা স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই কোস্টারিকার বিরুদ্ধে যথেষ্টই আক্রমনাত্বক ফুটবল খেলতে থাকে লুইস এনরিকের দল। খেলার শুরু থগেকে অধিকাংশ সময় বল নিজেদের পায়ে রেখেই আক্রমণে উঠতে থাকে স্প্যানিয়ার্ডরা। ম্যাচের ১১ মিনিটেই স্পেন নিজেদের প্রথম গোল তুলে নেয়। ডি বক্সের বাইরে থেকে গাভির বাড়ানো বল বক্সের ভেতর দারুণ দক্ষতায় কোস্টারিকান গোলরক্ষক কেইলর নাভাসকে ফাকি দিয়ে জালে বল জড়ান দানি অলমো।

প্রথম গোলের ঠিক ১০ মিনিট বাদেই দ্বিতীয় গোল পেয়ে যায় স্পেন। লেফট ব্যাক জর্ডি আলবার বাড়ানো বলে কোস্টারিকার জালে দ্বিতীয়বার বল জড়ান মার্কো অ্যাসেন্সিও। ম্যাচের ৩১ মিনিতে স্পেনকে তৃতীয়বার উল্লাসে মাতান ফেরান টোরেস। পেনাল্টি থেকে নাভাসকে বোকা বানিয়ে স্পেনকে ৩-০ গোলে এগিয়ে নেন টোরেস। প্রথমার্ধের বাকিটা সময়ও নিজেদের পায়ে বল রেখেই গোল আদায়ের চেষ্টা করে গেছে স্পেন। তবে আর কোনো গোল না হওয়ায় ৩-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় স্পেন।

দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেই স্পেন আরও বাড়িয়ে দেয় কোস্টারিকার বিরুদ্ধে আক্রমনের মাত্রা। ৫৪ মিনিটের মাথায় স্পেনের হয়ে চতুর্থ গোলটি করেন অ্যাসেনসিয়ো। স্পেনের দাপটের মাঝেই বিক্ষিপ্ত ভাবে কিছু পাল্টা আক্রমণ গড়ে তুললেন কোস্টারিকার ফুটবলাররা। কিন্তু গোল করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করতে পারেননি তাঁরা। বরং হতাশায় কিছুটা গা জোয়ারি ফুটবল দেখা গেল তাদের মধ্যে। ৭৪ মিনিটে স্পেনের পক্ষে পঞ্চম গোল গাভির।

৫-০ ব্যবধানে এগিয়ে যাওয়ার পর তিন পয়েন্ট নিশ্চিত হতেই খেলার গতি কিছুটা কমিয়ে দেন স্পেনের ফুটবলাররা। তাও থেকে থাকেনি লুইস এনরিকের দল। ৯০তম মিনিটে স্পেনের দুই বদলি খেলোয়াড়ের সমন্বয়ের পায় ষষ্ঠ গোল। নিকো উইলিয়ামস কোস্টারিকার মাতারিতাকে বোকা বানিয়ে বক্সের মধ্যে যে চমৎকার ক্রসটি করেন, সেটি কেবল গোল ঠেলে দেন কার্লোস সোলের। যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে স্পেন স্কোরলাইন করে ফেলে ৭-০। দর্শকেরাও উপহার পায় আরও একটি দুর্দান্ত গোল। মোরাতা কোস্টারিকার বক্সের মাথায় বল উল্টো দিকে ফিরে বলটি পেয়েছিলেন। ঘুরে, জায়গা করে নিয়ে তিনি দানি ওলমোর সঙ্গে দেয়াল পাস খেলে বোকা বানান কোস্টারিকান গোলকিপার কেইলর নাভাসকে। ইরানকে ৬ গোল দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করেছিল ইংল্যান্ড। ৭ গোল দিয়ে হ্যারি কেনদেরও ছাপিয়ে গেলেন তোরেসরা। স্পেনের পরের খেলা জার্মানির বিপক্ষে।

এই ম্যাচে মাঠে নেমে গাভি দারুণ একটা রেকর্ড করেছেন। তিনি বিশ্বকাপে স্পেনের সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড়। ৭৫ মিনিটের গোলটি তাঁকে এনে দেয় আরও একটি রেকর্ডের মালিকানা। এই গোলে তিনি স্পেনের জার্সিতে বিশ্বকাপে গোল করা সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবেও জায়গা করে নিয়েছেন ইতিহাসে।