Home স্বাস্থ্য ক্যাপসিকামের যতো উপকারিতা

ক্যাপসিকামের যতো উপকারিতা

আসলে ক্যাপসিকামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যারোটিনয়েড। এইসব ক্যারোটিনয়েডের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল জিয়াজ্যানথিন এবং লিউটিন। আর এই দুই উপাদান একাধিক ছোট-বড় রোগের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করতে পারে। এছাড়াও রয়েছে ভিটামিন এবং খনিজের প্রাচুর্য। তাই দেহে পুষ্টির ঘাটতি মেটানোর কাজেও এর জুড়ি মেলা ভার।

সুতরাং আর দেরি না করে এই সবজির একাধিক চমকে দেওয়া উপকার সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। আশা করছি, এর মাধ্যমেই আপনার সুস্থ থাকার পথ প্রশস্থ হবে।

১. হার্টের বন্ধু​

১. হার্টের বন্ধু​

এখন তো বয়স মাত্র ৩০-এর গণ্ডি পেরলেই অনেকে হার্টের অসুখে আক্রান্ত হচ্ছেন। আর এই তালিকায় হার্ট অ্যাটাক থেকে শুরু করে অ্যারিদমিয়ার মতো জটিল অসুখও রয়েছে। তাই আজকাল কম বয়স থেকেই হার্টের অসুখ নিয়ে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

তবে এই ফাঁকে একটা ভালো খবর দিয়ে রাখি। আপনার হার্টকে সুস্থ সবল রাখার কাজে সাহায্য করতে পারে ক্যাপশিকাম। আসলে এই সবজিতে রয়েছে লাইকোপেন নামক একটি ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট। আর এই উপাদান কিন্তু হার্টের অসুখকে দূরে রাখার কাজে একাই একশো। তাই হৃৎপিণ্ডের হাল ফেরাতে পাতে থাক ক্যাপশিকাম।

​২. বিপাকের হার বাড়বে​

​২. বিপাকের হার বাড়বে​

আমাদের দেহের ভালো-খারাপের অনেকটাই নির্ভর করে মেটাবলিজম বা বিপাক ক্রিয়ার উপর। তাই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা সবসময়ই মেটাবলিজমকে স্বাভাবিক রাখার পরামর্শ দেন। একমাত্র বিপাক ক্রিয়া স্বাভাবিক গতিতে নিজের কাজ করে যেতে পারলেই বিভিন্ন ক্রনিক অসুখের ফাঁদ এড়িয়ে চলা যাবে। আর জানলে অবাক হবেন, আপনার বিপাকের গতিকে স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করতে পারে ক্যাপশিকাম। আসলে এই সবজিতে এমন কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা এই কাজে আপনাকে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত এই সবজি পাতে রাখা মাস্ট।

​৩. কমবে ক্যানসারের ঝুঁকি​

​৩. কমবে ক্যানসারের ঝুঁকি​

ক্যানসার একটি প্রাণঘাতী অসুখ। তাই যেন তেন প্রকারেণ এই অসুখের ফাঁদ এড়িয়ে চলতে হবে। আর এই কাজেও আপনাকে সাহায্য করতে পারে ক্যাপশিকাম। আসলে এই সবজিতে রয়েছে বেশকিছুটা পরিমাণে লাইকোপেন। আর এই উপাদানই দেহে ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি আটকে দিতে পারে। তাই কর্কটরোগের কবল থেকে বাঁচতে চাইলে এই সবজিকে রোজের ডায়েটে জায়গা করে দিন।

৪. বাড়বে ইমিউনিটি​

৪. বাড়বে ইমিউনিটি​

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা চাঙ্গা থাকলে একাধিক ছোট-বড় সংক্রামক অসুখের ফাঁদ এড়িয়ে চলা যাবে। তাই যাঁরা নিয়মিত জ্বর, সর্দি, কাশির মতো ভাইরাল ডিজিজে আক্রান্ত হন, তাঁদের ডায়েটে ক্যাপশিকাম থাকাটা মাস্ট।

আর সুস্থ-সবল ব্যক্তিরাও ইমিউনিটিকে চাঙ্গা রাখতে নিয়মিত ক্যাপশিকাম খেতেই পারেন। এতেই দেখবেন উপকার মিলবে হাতেনাতে।

​৫. কমবে ব্যথার প্রকোপ​

​৫. কমবে ব্যথার প্রকোপ​

আর্থ্রাইটিসের ব্যথা, যন্ত্রণায় ভুগছেন নাকি? তাহলে যে আজ থেকেই ডায়েটে ক্যাপশিকামকে জায়গা করে দিতে হবে। আসলে এই সবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা কিনা ব্যথা এবং প্রদাহ দূর করার কাজে একাই একশো। তাই ব্যথা বিহীন নীরোগ জীবন কাটাতে চাইলে অবশ্যই পাতে ক্যাপশিকাম রাখুন। এতেই আপনার সুস্থ থাকার পথ প্রশস্থ হবে।

Disclaimer: প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।