Home আইন-আদালত যে কারণে গ্রেপ্তার কনটেন্ট ক্রিয়েটর ‘ক্রিম আপা’

যে কারণে গ্রেপ্তার কনটেন্ট ক্রিয়েটর ‘ক্রিম আপা’

ক্রিম আপা’। ছবি সংগৃহীত

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা:ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর শারমিন শিলা ওরফে ‘ক্রিম আপা’কে সাভার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হযেছে সাভার পৌর এলাকা থেকে।

সাভার উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কাজী ইসরাত জামানের দায়ের করা একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ঌটার দিকে আশুলিয়া থানার ওসি তদন্ত তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে নিশ্চিত করেন। এর আগে গত বুধবার রাতে মামলাটি দায়ের করা হয়।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, সাভার উপজেলার আশুলিয়া থানা এলাকায় বসবাসকারী শারমিন শিলা ওরফে ক্রিম আপা পেশায় একজন বিউটিশিয়ান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি ক্রিম আপা নামে পরিচিত। তিনি নিজের ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকসহ অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও তৈরি করে পোস্ট দেন। গত ৩০ মার্চ নিজের ফেসবুক আইডিতে বিকেল চারটার দিকে একটি ভিডিও পোস্ট করেন, যা ভাইরাল হয়।

ভিডিওতে দেখা যায়, শারমিন শিলা তার মেয়ে শিশুকে জোর করে এক হাতে দিয়ে মুখে চাপ দিয়ে হাঁ করিয়ে মেয়ের অসম্মতিতে কেকজাতীয় কিছু খেতে বাধ্য করছেন। তিনি ভাইরাল হওয়ার জন্য এক বছর ধরে দুই শিশু সন্তানের প্রতি মাতৃসুলভ আচরণ না করে শিশুদের আঘাত, উৎপীড়ন, অবহেলাসহ তাদের প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ করছেন। এ ধরনের আচরণের কারণে শিশুরা শারীরিক ও মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।

ভিউ পেতে বা অনলাইনে টাকা আয়ের জন্য নিজের সন্তানকে ক্যামেরার সামনে এনে নানাভাবে নিষ্ঠুর আচরণের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, শারমিন শিলা পেশায় একজন বিউটিশিয়ান। বিভিন্ন ধরনের ক্রিম তৈরি করে বিক্রি করায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি ক্রিম আপা নামে পরিচিত। তিনি নিজের ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে ফেসবুকসহ অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও তৈরি করে পোস্ট দেন। তেমনই একটি ভিডিও গত ৩০ মার্চ বিকাল ৪টার দিকে নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি ভিডিও পোস্ট করেন, যা পরবর্তীতে ভাইরাল হয়।

সেই ভিডিওতে দেখা যায়, শারমিন শিলা তার মেয়ে শিশুকে (আনুমানিক বয়স ২ বছর) জোর করে এক হাত দিয়ে মুখে চাপ দিয়ে হা করিয়ে কেক জাতীয় কিছু খেতে বাধ্য করছেন। তিনি তার ছেলে ও মেয়েকে জোর করে ক্যামেরার সামনে এনে চুলকাটা বা রং করা, কানে ভারী দুল পরানো, শিশুদের মুখে কুলকুচি করা, অপমানজনক গালিগালাজ করা, থাপ্পড় ও শারীরিক কষ্ট দিয়ে প্রতিনিয়ত ভিডিও তৈরি করছেন। এছাড়া তিনি ভাইরাল হওয়ার জন্য এক বছর ধরে দুই শিশু সন্তানের প্রতি মাতৃসুলভ আচরণ না করে শিশুদের আঘাত, উৎপীড়ন, অবহেলাসহ তাদের প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ করছেন। এ ধরনের আচরণের কারণে শিশুরা শারীরিক ও মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। তাদের মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামাল হোসেন বলেন,  শারমিন শিলার বিরুদ্ধে শিশু আইনের ৭০ ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটির বাদী সাভার উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কাজী ইসরাত জামান। সেই মামলায়  সাভারের পৌর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।