ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট) থেকে সংবাদদাতা: জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন শুরু করে প্রেমিকা। এ ঘটনায় ওই প্রেমিকাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিতসহ পুকুরের পানিতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে অভিযুক্ত প্রেমিকের পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে।
বুধবার দুপুর আড়াইটায় উপজেলার বাখেরা কোমলগাড়ী গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
জানা গেছে, প্রায় দেড় বছর আগে উপজেলার বাখেরা কোমলগাড়ী গ্রামের আনিছুর রহমানের ছেলে শাহীন আলমের একই উপজেলার বিনাই পাঁচখুপি গ্রামেরে এক মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক হয়। সম্পর্কের এক পর্যায়ে প্রেমিক শাহীন আলম মেয়েটিকে বিয়ে করার প্রলোভন দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে গিয়ে তার সাথে অনৈতিক গড়ে তোলে। গত কয়েকদিন থেকে প্রেমিক শাহীন আলম আবারও তার সাথে মিলিত হতে চাইলে মেয়েটি অসম্মতি জানায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শাহীন তাকে এড়িয়ে চলা শুরু করে ও তার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে। এরপর সে প্রেমিকের বাড়ি এসে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করে।
গ্রামবাসী জানান, শাহীন আলম ইতি পূর্বে একাধিক মেয়ের সাথে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগে গ্রাম্য শালিস বৈঠক হয়েছে। প্রেমিক শাহীনের বাবা আনিছুর রহমান বলেন, ‘এক বছর আগে ওই মেয়ের বাবা বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আমার বাড়িতে আসে। আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে এই বিয়েতে রাজি না হওয়ায় ওই মেয়ে বিয়ের দাবি নিয়ে মিথ্যে নাটক করছে।’
ভুক্তভোগী মেয়েটি জানান, গত কয়েকদিন থেকে প্রেমিক শাহীন আলমের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে সে তাকে এড়িয়ে চলে এবং বিয়ে না করার জন্য বিভিন্ন কৌশল করছে। ফলে নিরুপায় হয়ে বিয়ের দাবি নিয়ে তার বাড়িতে গেলে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে পুকুরের পানিতে ফেলে দেয় শাহীনের পরিবারের লোকজন। এই ঘটনার সঠিক বিচার দাবি করে তিনি বলেন বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করতে তিনি বাধ্য হবেন।