শরীরে কোলাজেন তৈরি হয় কিছু প্রোটিনজাত উপাদান ও ভিটামিন-মিনারেল দিয়ে। ঠিকমতো না খেলে অথবা অস্বাস্থ্যকর ও কম খাবার খেলে, মাছ-মাংস-ডিম-দুধের মতো প্রোটিন না খেলে, ভিটামিন ও খনিজের জোগান শরীকে ঠিকঠাক না দিলে, তবে কোলাজেন তৈরি করার মতো সঠিক উপাদান আমাদের শরীর পায় না।
বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
সাধারণ মানুষেরাও আজকাল মুদি থেকে ওষুধের দোকানে খোঁজ করেন কোলাজেন-সমৃদ্ধ ক্রিম, ওষুধ বা খাবারের। কোলাজেনের কাজ কী? এর কেন এত চাহিদা ?
কোলাজেন কী?
কোলাজেন আসলে একটি প্রোটিন। আমাদের শরীরেই এই কোলাজেন তৈরি হয়। পেশী, হাড়, টেন্ডন, লিগামেন্ট, অঙ্গ, রক্তনালী, ত্বক, অন্ত্রের আস্তরণ এবং অন্যান্য সংযোগকারী সমস্ত টিস্যুতেই রয়েছে কোলাজেন। এই প্রোটিন সারা শরীরকে সচল ও কর্মক্ষম রাখে। ত্বক ভাল রাখে, সার্বিকভাবে সুস্থ ও সুন্দর রাখে। তবে সাধারণভাবে আমাদের দেহের ভেতরে কোলাজেনের ঘাটতি হচ্ছে কিনা, তা মাপা যায় না না। কিন্তু কিছু উপসর্গ দেখে সহজেই আন্দাজ করা যায়।
কোলাজেনের ঘাটতি হলে ঠিক কী হয়?
- ত্বক অকালেই কুঁচকে যায়, বলিরেখা পড়ে
- টেন্ডন এবং লিগামেন্টের নমনীয়তা কমে
- পেশী সঙ্কুচিত ও দুর্বল হয়ে পড়ে
- তরুণাস্থি জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে। ফলে জয়েন্টে ব্যথা বা অস্টিওআর্থারাইটিস দেখা দেয়
- অন্ত্রের আস্তরণ পাতলা হয়ে যায়, ফলে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যার সূত্রপাত হয়
কেন কোলাজেনের ঘাটতি হয়?
আমাদের শরীরে কোলাজেন তৈরি হয় কিছু প্রোটিনজাত উপাদান ও ভিটামিন-মিনারেল দিয়ে। ঠিকমতো না খেলে অথবা অস্বাস্থ্যকর ও কম খাবার খেলে, মাছ-মাংস-ডিম-দুধের মতো প্রোটিন না খেলে, ভিটামিন ও খনিজের জোগান শরীকে ঠিকঠাক না দিলে, তবে কোলাজেন তৈরি করার মতো সঠিক উপাদান আমাদের শরীর পায় না। ফলে দেখা দেয় ঘাটতি।
কোলাজেন বুস্ট করার জন্য কী খাবেন?
- ডিম-মাছ-মাংস-দুগ্ধজাত প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার (মুরগি বা পাঁঠার মাংসে হাড়ের ভেতর যে মজ্জা থাকে, তাতে কোলাজেন মজুত থাকে)
- ভিটামিন সি সমৃদ্ধ সবজি ও ফল
- দানাশস্য, বাদাম বা শুঁটি জাতীয় খনিজযুক্ত খাবার
বিভিন্ন ধরনের কোলাজেন সাপ্লিমেন্টও বাজারে পাওয়া যায়। যেমন হাইড্রোলাইজড কোলাজেন পাউডার। এ ছাড়াও নানারকম অ্যান্টি-এজিং ক্রিমে সিন্থেটিক কোলাজেন ব্যবহার করা হয়। এই ক্রিমগুলো ত্বকের উপর একটা পুরু আস্তরণ ফেলে আর্দ্রতা হয়তো ধরে রাখতে পারে, তবে ত্বকে কোলাজেনের মাত্রা বাড়াতে পারে না।
শরীরে ও ত্বকে কোলাজেনের মাত্রা ঠিক রাখার জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার কোনও বিকল্প নেই। মনে রাখবেন, একমাত্র সুস্থ খাদ্যাভ্যাসই পারে আপনার তারুণ্য বজায় রাখতে, আপনাকে সর্বাঙ্গিক সুন্দর রাখতে।