Home Second Lead খাজা শিপ ব্রেকিং আবারো শিরোনামে

খাজা শিপ ব্রেকিং আবারো শিরোনামে

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম: আবারও সংবাদ শিরোনামে খাজা শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড। বিষাক্ত গ্যাসে দু’জনের প্রাণহানির পর শিল্প মন্ত্রণালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ কে এম শামসুল আরেফিন জানান, মঙ্গলবারের ঘটনার বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। কমিটি সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে রিপোর্ট দেবে বলে জানান তিনি।

শিল্প মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে তদন্তের জন্য। শিপ ব্রেকারস এসোসিয়েশনকেও একটি কমিটি গঠন করে তদন্ত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। সীতাকুণ্ড উপকূলে মাদামবিবির হাটে অবস্থান খাজা শিপ ব্রেকিং লিমিটেড-এর। মঙ্গলবারের ঘটনায় নিহত হয় দু’জন।  শিপব্রেকিং শিল্প শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করে এমন বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার হিসাবে এই নিয়ে ৩ বছরে মোট ৮ জন  দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালো ইয়ার্ডটিতে। সেখানে এলপিজি ট্যাংকার-এমটি ওয়েস্ট এনার্জি ভাঙ্গার কাজ চলছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়: মঙ্গলবার দুপুরে সেখানে কাজ করার সময় বিষাক্ত গ্যাসে প্রাণ হারায় নিরঞ্জন দাস (৬৫)ও সুমন দাস (৪৮)। তারা সহোদর। বাড়ি ঝালকাঠি। সীতাকুণ্ড পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠায়।

গত ২৩ জুলাইও একজন শ্রমিক প্রাণ হারায় খাজা শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে। পরিবেশ সুরক্ষা, দুর্ঘটনার কারণ ও অন্যান্য বিষয় বিবেচনায়  শিল্প মন্ত্রণালয়  ৩ মাস স্ক্র্যাপ জাহাজ আমদানি বা স্থানীয় উৎস হতে সংগ্রহ থেকে বিরত থাকার জন্য প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দিয়েছিল। ৩০ সেপ্টেম্বর শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে ঐ নির্দেশ দেয়া হয়।

কেবল যে ইয়ার্ডটিতে দুর্ঘটনায় ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনা তা নয়। আরও কারণে সংবাদ শিরোনাম হয়েছে। জাহাজভাঙার অনুমতি থাকলেও নির্মাণ করার অভিযোগও ওঠে তাদের বিরুদ্ধে। পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে তাদেরকে নোটিস দেয়া হয়েছিল এ ব্যাপারে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা যথাযথ না হওয়ায় জরিমানা করা হয়েছিল তাদেরকে।

ট্যাংকার ভাঙার জন্য বিচিং করার আগে যেসব বিধি-বিধান প্রতিপালনের কথা সেগুলো যথাযথভাবে হয়েছে কি না, নাকি কাগজেপত্রে হয়েছে এবং শ্রমিকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ম অনুসারে ছিল কি না, অতীতের ঘটনাসমূহ পর্যালোচনা করে তদন্ত কমিটি শিল্প মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পেশ করবে।