মো: আজিজার রহমান, দিনাজপুর থেকে : খানসামা উপজেলায়
বসতবাড়ির আঙিনাসহ পতিত জমিতে গড়ে উঠেছে পারিবারিক সবজি ও পুষ্টি
বাগান। রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের পরিমাণ কম হওয়ায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান
বেশ জনপ্রিয় হচ্ছে। মুজিব জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রতি ইঞ্চি কৃষি জমির
সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায়
কৃষি বিভাগের সহায়তায় বাড়ির আঙিনা ও আশপাশের পতিত জমিতে সবজি চাষাবাদ করে
যেমন পরিবারের পুষ্টি চাহিদা পূরণ হচ্ছে তেমনি চাষীরা আর্থিক লাভবানও
হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, পুরো উপজেলার তালিকাভুক্ত
কৃষকদের মধ্যে গত বছর ১০ জন কৃষককে নিজের বাড়ির আশাপাশে সবজি-পুষ্টি
বাগান স্থাপনের লক্ষ্যে ১৭টি সবজির উন্নতমানের বীজ বিনামূল্যে সরবরাহ করা
হয়েছে। চাষাবাদের জন্য জৈব ও রাসায়নিক সার এবং বেড়া বাবদ আর্থিক সহায়তা
প্রদান করা হয়েছে। বছরব্যাপী সবজি চাষ সম্ভব এমন রৌদ্রজ্জ্বল স্থান
নির্বাচন করে বাগানের আশাপাশে বেড়া দিয়ে কৃষক তৈরি করেছেন আকর্ষণীয়
সবজি-পুষ্টি বাগান।
এসব বাগানে প্রয়োজনীয় ও পরিমাণ মতো সার ব্যবহার করছেন কৃষকরা। প্রতিটি
ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা নিয়মিত পরামর্শ
প্রদান করেন। কৃষি বিভাগের সহায়তায় তৈরী হওয়া এসব পারিবারিক পুষ্টি বাগান
দেখে অনেকেই ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে তুলেছেন সবজি-পুষ্টি বাগান।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বাসুদেব রায় বলেন, বাড়ির আঙিনাসহ পতিত জমিতে
পারিবারিক পুষ্টি বাগান তৈরিতে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে
কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। এসব জমিতে বীজ রোপণ করে কৃষকের বাড়ির
আঙ্গিনাসহ পতিত জমি সবুজে সমারোহ। এই সবজি কৃষকদের পরিবারের চাহিদা
মিটিয়ে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে এতে তারা লাভবান।