Home First Lead খালেদা জিয়ার অবস্থা পর্যালোচনায় বৈঠকে মেডিকেল বোর্ড

খালেদা জিয়ার অবস্থা পর্যালোচনায় বৈঠকে মেডিকেল বোর্ড

বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা পর্যালোচনায় বৈঠকে বসছে মেডিকেল বোর্ড।বোর্ডের চিকিৎসকরা শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বৈঠকে বসবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।এর আগে শুক্রবার গভীর রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঢাকার বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাকে সিসিইউতে (ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট) রাখা হয়েছে।

তার চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতাল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করে। সেই বোর্ডই আবার বৈঠকে বসতে যাচ্ছে।

অধ্যাপক জাহিদ জানিয়েছেন, সকাল সাড়ে ১০টায় মেডিকেল বোর্ড বসছে। তার (খালেদা) হার্টের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষাগুলো পর্যালোচনা করে চিকিৎসার করণীয় ঠিক করবেন তারা।

খালেদা জিয়া বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। এর মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর মাঝেমধ্যেই তার শারীরিক পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে, থাকতে হয়েছে হাসপাতালেও।

হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরপরই খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্রের কয়েকটি পরীক্ষা তাৎক্ষণিকভাবে করা হয়।

ছিয়াত্তর বছর বয়সী খালেদা জিয়া এর পাশাপাশি ডায়াবেটিস,আর্থ্রাইটিস, ফুসফুস, কিডনি, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন অনেকদিন ধরে।

এর আগে টানা দুই মাস ২১ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর গত পয়লা ফেব্রুয়ারি গুলশানের বাসায় ফিরেছিলেন খালেদা জিয়া।

গত বছরের ১৩ নভেম্বর থেকে খালেদা জিয়া ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এই সময়ে তার শরীরে কয়েক দফায় অস্ত্রোপচার করা হয়।

গত বছরের ২৮ নভেম্বর চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হয়েছেন।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। সেই দিনই তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

পরবর্তীতে সেই সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করে হাইকোর্ট।

পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলাতেও তাকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

সরকার প্রধানের নির্বাহী আদেশে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ শর্ত সাপেক্ষে দণ্ড স্থগিত করে তাকে ছয় মাসের জন্য সাময়িকভাবে মুক্তি দেওয়া হয়।

এরপর কয়েক দফায় খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।