Home Uncategorized বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া

বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

ঢাকা:দীর্ঘ ১৩ দিন বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর গুলশানের বাসা ফিরোজায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।  শুক্রবার (২৪ জুন) বিকেল  ৬টায় এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে ছোট ভাই শামীম এস্কান্দারের গাড়িতে করে বাসায় ফেরেন তিনি।

গত ১০ জুন রাত তিনটায় বুকের ব্যথা নিয়ে এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি হন ৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়া। পরদিনই দ্রুত তার হৃদপিন্ডে একটি ব্লক অপসারণ করে স্টেন্ট বসানো হয়।

এর আগে বিকাল চারটায় বেগম খালেদা জিয়ার জন্য গঠিত এভারকেয়ার হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ড হাসপাতালের অডিটরিয়ামে সংবাদ সম্মেলন করে। সেখানে বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদার জানান, শারীরিক জটিলতা থাকলেও করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে বেগম খালেদা জিয়াকে আপাতত বাসায় নেয়ার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘ম্যাডাম এখনো অসুস্থ। তিনি যে অবস্থায় এসেছিলেন সেই অবস্থা থেকে স্টেবল। কিন্ত বাকিগুলো যেমন ব্লিডিং কমপ্লিকেশন ইটস এ ভেরি চ্যালেঞ্জিং গেইম নাউ। কিডনি কমপ্লিকেশন আমরা ওয়াকওভার করেছি। উনি হাই রিস্ক অব ব্লিডিং। এখনো উনার দুইটা ব্লক রয়ে গেছে।

শাহাবুদ্দিন তালুকদার বলেন, দেশে করোনার সংক্রমণ ক্রমেই বাড়ছে। এমন প্রেক্ষাপটে উনাকে হাসপাতালে রাখতে চাচ্ছি না। কারণ কোভিড প্লাস ইনফেকশন ইজ এ চান্স। এসব কারণে তার যদি এগুলো হয় তাকে আবার ক্রিটিক্যাল কন্ডিশনে নিয়ে চলে যাবে। সেজন্য আমরা পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, তাকে আপাতত বাসায় নেয়া হোক। বাসায় নিয়মিত তাকে মনিটরিংয়ে রাখা হবে। পরে যদি কোনো কমপ্লিকেশন হয় তাকে ফের হাসপাতালে ভর্তি করা হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেডিকেল বোর্ডের প্রধান বলেন, খালেদা জিয়ার একটা ব্লক অপসারণ করতে গিয়ে তার কিন্তু কিডনি সার্টডাউন হয়েছে, হার্ট ফেইলিউর হয়েছে। ওই দুইটা যদি করতাম তার কিডনি টোটাল সার্টডাউন হতো। সেজন্য আমরা ওই দুইটা ব্লক অপসারণ করিনি।

মেডিকেল বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক ডা. এএফএম সিদ্দিকী বলেন, ম্যাডামের অনেক জটিল অসুস্থতা আছে। উনার রেনাল ফিলিউর, উনার ব্লিডিংয়ের চান্স, উনার যে সিরোসিস অব লিভার সেটা কিন্তু রয়ে গেছে। সেটার কোনো চিকিৎসা হয় না। আমরা শুধু উনার ব্লিডিং স্পটগুলোকে লাইগেশন করে দিয়ে বন্ধ করে রেখেছি। সেগুলো কী অবস্থায় আছে গত ৬ মাসে আমরা কিন্তু ফলোআপ করতে পারিনি। এখন এই কার্ডিয়ার কন্ডিশনের জন্য উনার ফলোআপ করাটা আরো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত আমরা যা করার করছি। তবে উনার সঠিক, সার্বিক, সুষ্ঠু চিকিৎসা এই দেশে সম্ভব নয়। সেটা বিশ্বের কিছু উন্নত দেশে উন্নত সেন্টারে করতে পারলে সেটা উনার জন্য সবচেয়ে ভালো হবে।

খালেদা জিয়ার এখনো ফ্লাই (বিমানে ভ্রমণ) করার মতো শারীরিক সক্ষমতা আছে বলে জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. জাহিদ হোসেন, মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ডা. শেখ ফরিদ আহমেদ, ডা. মো. জাফর ইকবাল, ডা. আল মামুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।