বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম:নিখোঁজের ১৫ ঘণ্টা পর মোহাম্মদ কায়েস নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। এতে তার নাড়িভুঁড়িও বেরিয়ে পড়ে।কায়েস পুলিশের সোর্স ছিলেন। তিনি পটিয়া উপজেলার জিরি ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের কৈয়গ্রাম এলাকার আবু তাহেরের ছেলে। পুলিশের ধারণা, সোর্সের কাজ করায় কোনো পক্ষ ক্ষুব্ধ হয়ে পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করেছে।
শনিবার বেলা ১১টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের মইজ্জ্যারটেক সিডিএ আবাসিক এলাকার রাস্তার পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে কায়েসের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। স্বজনরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেন। কোথাও তার হদিস পাননি। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মইজ্জ্যারটেক সিডিএ আবাসিক এলাকায় রাস্তার পাশে একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। খবর পেয়ে কায়েসের পরিবারের সদস্যরাও ঘটনাস্থলে যান। তারা কায়েসের লাশ শনাক্ত করেন। দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, কায়েস নগরীর বাকলিয়া, কোতোয়ালি ও সদরঘাট থানা পুলিশের সোর্সের কাজ করতেন। এ কারণে বিভিন্ন সময় অনেকে ক্ষুব্ধ হয়ে মোবাইল ফোনে তাকে হুমকি-ধামকি দিতেন। কোনো পক্ষ তার ওপর এতটাই ক্ষুব্ধ ছিল যে তাকে পেটে, পিঠে ও বুকে ১১ বার ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে। লাশ উদ্ধারের সময় তার নাড়িভুঁড়ি বেরিয়ে ছিল।
কায়েসের বাবা আবু তাহের জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে তার ছেলের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। সর্বশেষ সন্ধ্যা ৭টার দিকে তার সঙ্গে তার স্ত্রীর কথা হয়েছিল। ওই সময় কায়েস বাড়ির জন্য কিছু আনতে হবে কিনা জানতে চান। তখন তার স্ত্রী বলেছিলেন, বাড়িতে চাল তরকারি কিছুই নেই।
কায়েসের স্ত্রী শাহনাজ আকতার জানান, অনেক সময় পুলিশ এসে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যেত তার স্বামীকে। তাকে কোতোয়ালি থানার সবাই চেনেন। তার স্বামীর সঙ্গে এলাকায় কারও কোনো শত্রুতা ছিল না। কিন্তু শহরে বিভিন্নজনের সঙ্গে সমস্যা ছিল। বেশ কিছু দিন আগে তাকে মোবাইল ফোনে কে বা কারা মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিল। তবে এসব ব্যাপারে তাকে কিছুই বলত না।
কর্ণফুলী থানার ওসি দুলাল মাহমুদ বলেন, নিহত কায়েস পুলিশের সোর্স হিসাবে কাজ করত বলে আমি শুনেছি। তবে আমার (কর্ণফুলী) থানায় কোনো দিন দেখিনি। প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে তাকে পরিকল্পিত ও নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে।