বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
খুলনা: শুক্রবার সকাল থেকে এখানে ৪ থানায় কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। আগামী ১০ জুন পর্যন্ত এ বিধি-নিষেধ চলবে।
মহানগরীর সদর, সোনাডাঙ্গা, খালিশপুর থানা ও রূপসা উপজেলায় জরুরি সেবা ব্যতীত সব দোকানপাট, মার্কেট ও শপিংমল বন্ধ রয়েছে।
সদরে করোনা সংক্রমণের হার শতকরা ৩৫, খালিশপুরে ২৫ এবং সোনাডাঙ্গায় এই হার শতকরা ১৭। এ ছাড়া নগরীর পার্শ্ববর্তী রূপসা উপজেলাতে করোনা সংক্রমণের হার শতকরা ৪ দশমিক ১৮ কিন্তু অন্যান্য উপজেলাতে এই হার শতকরা প্রায় এক ভাগ।
রোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় করোনাভাইরাস প্রতিরোধ সংক্রান্ত জেলা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ বিধি-নিষেধ শুরু হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে নিরাপত্তা চৌকি বসিয়েছে প্রশাসন।
বিধি-নিষেধে বলা হয়েছে— কাঁচাবাজার ও নিত্য প্রয়োজনীয় মুদি দোকান বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান ও ন্যূনতম তিন ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে বেচাকেনা করতে হবে। ঔষধের দোকান সার্বক্ষণিক খোলা রাখা যাবে।
হোটেল-রেস্তোরাঁগুলো পার্সেল অথবা প্যাকেটজাত খাবার সরবরাহ করতে পারবে। সন্ধ্যার পর কোনো রাস্তার মোড়ে বা স্থানে একের বেশি ব্যক্তি অবস্থান করা বা একসঙ্গে চলাফেরা করতে পারবে না।
এ ছাড়া রূপসা উপজেলার রূপসা খেয়াঘাট, আইচগাতি খেয়াঘাট এবং উপজেলার বাজার ও দোকানপাটগুলোতে জনসমাগম করা যাবে না। উপজেলা সদরের ওষুধ, কাঁচাবাজার ও খাদ্যসামগ্রীর দোকান ব্যতীত অন্য সব দোকান ও মার্কেট বন্ধ থাকবে। মাস্ক পরিধানসহ সব স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।
এসব শর্তাবলি সবাইকে কঠোরভাবে মেনে চলার অনুরোধ করা হয়েছে। অমান্য করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। খুলনা জেলা প্রশাসনের এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক করোনা সংক্রমণ ও প্রতিরোধ কমিটি কর্তৃক আরোপিত বিধি-নিষেধ বাস্তবায়নে জনপ্রতিনিধিদের সার্বিক সহযোগিতা করার অনুরোধ জানান এবং মাস্ক ব্যবহার ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি আরোপিত বিধি-নিষেধ মানার আহ্বান জানান।