Home সারাদেশ খুলনায় পরিবহণ বন্ধ

খুলনায় পরিবহণ বন্ধ

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

খুলনা: জেলার সব রুটে পরিবহণ চলাচল বন্ধ রয়েছে। সব রুটে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পরিবহণ চলাচল বন্ধ রয়েছে জেলায়।

জেলার বাস-মিনিবাস-কোচ মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা এই সিদ্ধান্ত নেন। তবে মহানগর বিএনপির দাবি, শনিবার (২৭ফেব্রুয়ারি) তাদের মহাসমাবেশ সফল না করার জন্যই প্রশাসনের নির্দেশে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

খুলনা মোটর বাস মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল গাফফার বিশ্বাস জানিয়েছেন, শ্রমিকেরা এই সময় কোনো কাজ করবেন না বলে তাঁদের জানিয়েছেন। একইভাবে মালিকেরাও এই সময় তাঁদের বাস-ট্রাক চলাচল করবে না বলে জানিয়েছেন। ফলে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে ২৪ ঘণ্টা পরিবহণ চলাচল বন্ধ।

খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি নুরুল ইসলাম বেবী জানান, শ্রমিকেরা কোনো কারণ ছাড়াই এই সময় কর্মবিরতি করবেন। লকডাউন ছাড়া শ্রমিকরা ছুটি পায়নি, তাই এই কর্মবিরতি।

শনিবার বিএনপির মহাসমাবেশ রয়েছে বলে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে নুরুল ইসলাম এই মহাসমাবেশের সঙ্গে কর্মবিরতির কোনো সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেন। এ ছাড়া পুলিশ বা প্রশাসন তাঁদের এ ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা দেয়নি বলেও দাবি করেন তিনি।

অপরদিকে, মিনিবাস মালিক সমিতি ও বেবি ট্যাক্সি শ্রমিক নেতা আনোয়ার হোসেন সোনা দাবি করেন, বিএনপির সমাবেশে গোলযোগ হতে পারে, তাই সতকর্তা হিসেবে বাস, মিনিবাস চলাচল বন্ধ রাখছেন তাঁরা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শ্রমিক নেতা ও মালিক দাবি করেন, প্রশাসনের নির্দেশে বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। সাদা পোশাকের পুলিশ সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনালে গিয়ে এই নির্দেশ জানিয়ে দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে খুলনা মহানগর পুলিশের ডেপুটি কমিশনার মো. তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, পুলিশের পক্ষ থেকে বাস চলাচল বন্ধের কোনো নির্দেশনা নেই। মোটর শ্রমিক ও মালিকদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিরোধ থাকায় তারা এই ২৪ ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখছে। এখানে পুলিশের কোনো পদক্ষেপ নেই।

বুধবার দুপুরে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বাস চলাচল বন্ধের আশঙ্কা জানিয়েছিলেন। তাঁর আশঙ্কা ছিল, অতীতের মতো এবারও আবাসিক হোটেলগুলোতে আসা নেতাদের সিট না দেওয়া হতে পারে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী, শনিবার খুলনা মহারাজ চত্বরে দেশে ভোট ডাকাতির প্রতিবাদ এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে ছয় মেয়র প্রার্থীর মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।