বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঠাকুরগাঁও: ৫ম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া স্কুল শিক্ষক মোজাম্মেল হক মানিককে দেখেই উৎসুক জনতা গণধোলাই দিয়েছে। পরে অতিরিক্ত পুলিশের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। অন্যদিকে, অভিযুক্ত ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে ছাত্র জনতার ব্যানারে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করে।
এসময় তারা দাবি তুলেন দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি না হলে আরও কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। পরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে বিক্ষোভ করে।
ঐ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদি হয়ে ঘ রাতেই সদরের ভুল্লী থানায় শিক্ষক মোজাম্মেল হক মানিকের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মানিককে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন আদালত। রোববার (৯ মার্চ) সকালে অভিযুক্ত শিক্ষককে অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরিফুল ইসলাম জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, বিদ্যালয় বন্ধ থাকা সত্ত্বেও ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোজাম্মেল হক মানিক স্কুলের বাচ্চাদের প্রাইভেট পড়ান। প্রতিদিনের মতো প্রাইভেটে যায় ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী। এ সময় সুযোগ বুঝে একটি কক্ষে নিয়ে পাশবিক নির্যাতনের পর ধর্ষণ করে পালিয়ে যান শিক্ষক।
পরবর্তীতে শিশুটির চিৎকার চেঁচামেচিতে স্থানীয় এগিয়ে আসার আগেই ওই শিক্ষকের লোকজন তাকে উদ্ধার করে জেলা শহরের সেবা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনিস্টিক সেন্টার নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নিয়ে আসে। গোপনে চিকিৎসা দেয়ার চেষ্টা করার কথা জানতে পেরে সংবাদকর্মীরা ছুটে গেলে দ্রুত সময়ে শিশুটি জেনারেল হাসপাতালে হস্তান্তর করে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ।
অভিযোগ রয়েছে এর আগেও এ ধরনের ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানে অনৈতিক কাজের চিকিৎসা দিয়ে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেয় জড়িতরা। এরই মধ্যে ভুক্তভোগীর স্বজনরা এসে মেয়েটিকে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান।