বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: গভীর সমুদ্রে মাছ আহরণ বন্ধ করে দিয়েছে ট্রলারসমূহ। সব ট্রলার ফিরে এসেছে।
বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ এসোসিয়েশন জানিয়েছে, অতি সম্প্রতি প্রণীত সামুদ্রিক মৎস্য আইন স্থগিত রাখার দাবিতে সব ট্রলার ফিরে এসেছে। আলোচ্য আইনের কঠোরতার কারণে ট্রলারের স্কিপার, সেইলর এবং কর্মকর্তারা আতঙ্কগ্রস্ত। তাই ট্রলারসমূহ ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
আড়াই শ’য়ের মত ট্রলার রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ১৪১ টি মেরিন ফিশারিজ এসোসিয়েশনের সদস্য। সব ট্রলার এখন কর্ণফুলীতে নোঙরে। দীর্ঘদিন আহরণ বন্ধ থাকলে মাছের সংকট তৈরি হতে পারে। রপ্তানিও ব্যাহত হতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
এসোসিয়েশন কর্মকর্তারা জানান, বছরে ৭ মাস মাছ আহরণ করা হয়। ১ লাখ ৩০ হাজার টনের মত মাছ সংগৃহীত হয়। লাক্ষা, কোরাল, আইলা, চাপিলা, রূপচান্দা, দাতিনা ইত্যাদি নানা জাতের মাছ আহরণ করা হয়ে গভীর সমুদ্র থেকে। প্রতি ট্রিপ ২৫ দিনের।
সোমবার ( ৭ নভেম্বর ) প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ এসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা বলেন, সামুদ্রিক মৎস্য আইন ২০২০ এর সাংঘর্ষিক, বাস্তবতাবিবর্জিত এবং অব্যবসাবান্ধব ধারাসমূহ বিলুপ্ত করা প্রয়োজন। এই দাবিতে ট্রলারের স্কিপার, সেইলর এবং কর্মকর্তারা ফিরে এসেছেন। বর্তমানে আহরণের ভর মওসুম। ট্রলিং বন্ধ থাকলে মালিকরা বিশাল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বেন। ট্রলারের প্রতিদিনের ব্যয় নির্বাহ এবং ব্যাংকের দেনা পরিশোধে সংকট তৈরি হবে।
সংবাদ সম্মেলনে নতুন আইনের কার্যকারিতা স্থগিত করে স্টেকহোল্ডারদের মতামত সহকারে বর্তমান আইনটি সংশোধন, সংযোজন ও বিয়োজন করে নতুন প্রজ্ঞাপন জারির আহ্বান জানানো হয়েছে।