নয়ন দাস
কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলায় গমের বাম্পার ফলন হয়েছে। ন্যায্য মূল্য পেলে লাভবান হবে কৃষক। বর্তমান বাজারে যে দামে গম বিক্রি হচ্ছে তাতে লাভের মুখ দেখছে না তারা। এতে হতাশ হচ্ছেন এলাকার প্রান্তিক চাষীরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর গম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯শ’ হেক্টর জমিতে। তবে গমের আবাদ হয়েছে ৭১০ হেক্টর জমিতে।
এরই মধ্যে গমকাটা ও মাড়াইয়ের কাজ চলছে, ঘরে উঠতে শুরু করেছে নতুন গম। চলতি বছর প্রতি বিঘা জমিতে ১০ থেকে ১২মণ করে গমের ফলন হয়েছে। ফলন বেশি হওয়ায় তাদের চোখে মুখে বিজয়ের হাসী। তবে, ন্যায্য মূল্য পেলে কৃষকের উৎপাদিত গম তাদের নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বিক্রি করে আর্থিক লাভবান হতে পারবেন বলে জানিয়েছেন প্রান্তিক চাষীরা।
সরেজমিনে গিয়ে উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের দাগারকুটি গ্রামের মোহাম্মদ আলী (৫০) ও মিলন মিয়া(৩৫)’র সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা কৃষি অফিস থেকে বীজ ও সার পেয়েছে। চলতি বছর ফসলে পোকামাকড়ের উপদ্রব অনেক কম হওয়ায় ভাল ফলন হয়েছে। ন্যায্য মূল্যে গম বিক্রি করতে পারলে কৃষকরা গম চাষে আগ্রহী হয়ে উঠবে। তবকপুর কাগল ডাঙ্গা এলাকার গম চাষী নজরুল ইসলাম (৪০) বলেন, এই প্রথম গম আবাদ করেছি, ফলন ভাল হয়েছে। ন্যায্য মূল্য পেলে গম চাষে আগ্রহ বাড়বে চাষীদের।
এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, মাঠে সুষ্ঠু তদারকি ও কৃষকদের ভাল গম উৎপাদনে পরামর্শ ও সহযোগিতা করেছেন কৃষি অধিদপ্তর। গম চাষ বৃদ্ধির জন্য উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে উঠান বৈঠকের মাধ্যমে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। এবং কৃষকদেরকে প্রণোদনা হিসেবে বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গমের ভাল ফলন হয়েছে। চলতি বছর ২হাজার ৪ শ’ ৮৫মেট্রিক টন গম উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।