Home উদ্যোক্তা গরুর খামার করে স্বপ্নপূরণ নর্থ সাউথ শিক্ষার্থীর

গরুর খামার করে স্বপ্নপূরণ নর্থ সাউথ শিক্ষার্থীর

নওগাঁ থেকে সংবাদদাতা: করোনা মহামারীর কারণে এক বছর ৪ মাস ধরে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ।

বাড়িতে অধিকাংশ শিক্ষার্থীই শুয়ে-বসে সময় কাটালেও লকডাউনের এই অবসর সময়টাকে নষ্ট না করে স্বপ্নের গরুর খামার গড়ে তুলেছেন নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হাসিবুল ইসলাম জিহান।

তিনি নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার পাহাড়পুর ইউপির আরজি পাঁচঘড়িয়া গ্রামের সাহাবুল আলমের ছেলে। নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের নবম সেমিস্টারের একজন শিক্ষার্থী। পড়াশুনা শেষে সফল উদ্যেক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন অনেক আগে থেকেই। কিন্তু করোনা মহামারীর কারণে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠার বন্ধ থাকায় পড়াশুনা শেষ করার আগেই সেই স্বপ্নের সিঁড়িতে সফলতা অর্জন করেছেন জিহান।

করোনা ভাইরাসের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে গেলে বাড়িতে চলে আসেন জিহান। গ্রামের বাড়িতে তার সবসময় দু-একটা গরু থাকেই। এই গরুগুলো লালন-পালন করতে করতে বড় একটি গরুর খামার করার সাধ জাগে তার। যে কথা সেই কাজ। বাবা সাহাবুল আলমের সাথে পরামর্শ করে শুরু করেন খামার তৈরীর কাজ। বড় আকারের ২০টি গরু রাখার মতো একটি সেড নির্মাণ করেন তিনি। খামারটির নাম দেন জিহান ডেইরি ফার্ম।

এই জিহান ডেইরি ফার্মে বর্তমানে ১৮ টি গরু আছে। এর মধ্যে রয়েছে ৩টি গাভী, দেশি ষাঁড় ও ইন্ডিয়ান বলদ মিলে রয়েছে আরো ১৫টি গরু। ৩টি গাভি থেকে প্রতিদিন গড়ে ৫০ থেকে ৬০ লিটার দুধ পান তিনি। কুরবানীর ঈদ সামনে রেখে ছয় মাস ও এক বছর আগে কিনেছিলেন বলদ ও ষাঁড়গুলো। তার খামারে এবার ঈদে বিক্রয়ের জন্য ১৫ টি গরু রয়েছে।

গরুগুলো কিনতে ও লালন-পালন করতে তার খরচ হয়েছে ৩০ লাখ টাকা। গরুগুলো বিক্রয় করার ইচ্ছে আছে ৪০ লাখ টাকায়। কিন্তু কঠোর লকডাউনের কারণে গরুগুলোর ভালো দামে বিক্রয় করা নিয়ে আছেন ভীষণ শঙ্কায়।

হাসিবুল ইসলাম জিহান বলেন, ছোট বেলা থেকেই আমি স্বপ্ন দেখতাম একজন সফল উদ্যেক্তা হওয়ার, শখ ছিল গরুর ফার্ম করার। পড়াশুনা শেষ করেই শুরু করতাম এই কাজ। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় ভাবলাম বসে না থেকে এখন থেকেই শুরু করি। বাবার সঙ্গে পরামর্শ করে শুরু করেছি এই জিহান ডেইরি ফার্ম।

তিনি আরো বলেন, এই ফার্মকে আরো বড় করার ইচ্ছে আছে। আগামী বছর ৫০ থেকে ৬০ টি গরুর প্রজেক্ট করবো। এখন আমার এই ডেইরি ফার্মে দুইজন লোক কাজ করে। খামার বড় হলে আমার স্বপ্নপূরণ হবে পাশাপাশি অনেক লোকের এখানে কর্মসংস্থানও হবে।