হানিফ বলেন, রবিবার বিকেলে গাভীটির প্রসব ব্যথা উঠার কিছুক্ষণ পরেই স্বাভাবিক ভাবেই এ বাছুরটি জন্ম দেয়। সবকিছু স্বাভাবিক থাকলেও মাথার ওপরের অংশে কপালে একটি মাত্র চোখ এবং কোন নাক নেই। মুখ দিয়েই নিশ্বাস নিচ্ছে। এই দৃশ্য দেখে আমি সহ আমার পরিবারের লোকজন হতভম্ব হয়ে পড়ি। এখন পর্যন্ত বেঁচে আছে। আমরা ফিডিার দিয়ে বাছুরটিকে দুধ ও পানি খাওয়াচ্ছি। এর আগে এ গাভীটি তিনবার বাছুর জন্ম দিয়েছে। চতুর্থবারে এ রকম ঘটনা ঘটলো।
বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, নেত্রকোনা:মাথার ওপর কপালে একটি চোখ। নাক নেই, মুখ দিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছে। এমন এক গরুর বাছুর জন্ম নিয়েছে দুর্গাপুর উপজেলায়। তা জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
বাছুরটি দেখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ এসে ভিড় জমাচ্ছেন সেখানে। উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চল পশ্চিম রগজোর গ্রামের কৃষক আবু হানিফের বাড়িতে এ বাছুরটির জন্ম হয়।
সেখানে গিয়ে দেখা যায়, মাটিতে শুয়ে আছে একটি গরুর বাছুর। ওই বাছুরটির চার পা লেজসহ সবকিছু স্বাভাবিক থাকলেও মাথার ওপরে শুধু কপালে একটি চোখ। কোন নাক নেই। মুখ দিয়েই নিচ্ছে শ্বাস-প্রশ্বাস। হানিফ মিয়া, বাছুরটির মা গাভি থেকে বোতলের মাধ্যমে দুধ সংগ্রহ করে বাছুরটিকে খাওয়াচ্ছেন।
হানিফ বলেন, রবিবার বিকেলে গাভীটির প্রসব ব্যথা উঠার কিছুক্ষণ পরেই স্বাভাবিক ভাবেই এ বাছুরটি জন্ম দেয়। সবকিছু স্বাভাবিক থাকলেও মাথার ওপরের অংশে কপালে একটি মাত্র চোখ এবং কোন নাক নেই। মুখ দিয়েই নিশ্বাস নিচ্ছে। এই দৃশ্য দেখে আমি সহ আমার পরিবারের লোকজন হতভম্ব হয়ে পড়ি। এখন পর্যন্ত বেঁচে আছে। আমরা ফিডিার দিয়ে বাছুরটিকে দুধ ও পানি খাওয়াচ্ছি। এর আগে এ গাভীটি তিনবার বাছুর জন্ম দিয়েছে। চতুর্থবারে এ রকম ঘটনা ঘটলো।
বাছুর দেখতে আসা স্থানীয় যুবক শামীম বলেন, আমি বিষয়টি জানতে পেরে এখানে এসে দেখলাম ঘটনা সত্য। বাছুরটি দেখে অবাক হয়েছি মাথার ওপর কপালে একটি মাত্র চোখ ও নাক নেই। এ রকম বাছুর আমার জীবনে কখনো দেখেনি।
উপজেলা উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ছিদ্দিক উর রহমান বলেন, বাছুরটিকে আমরা জন্ম প্রতিবন্ধী হিসেবে শনাক্ত করেছি। তাদের পরামর্শ দিয়েছি ফিডার দিয়ে বাছুরটিকে দুধ ও পানি খাওয়ানোর জন্য। তবে বাছুরটির বাঁচার সম্ভাবনা খুব কম।